ভিডিও

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু রোববার, ১১ আগস্ট পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ

বগুড়ায় পরীক্ষার্থী ৩৩,৯৪২

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৪, ০৮:৪০ রাত
আপডেট: জুন ৩০, ২০২৪, ০৯:৫৯ সকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে আজ শনিবার (২৯ জুন) থেকে আগামি ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এবার বগুড়ার ৬২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ৯৪২জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এরমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় ২৬ হাজার ৫৫২জন, আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৫২৮ এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি (বিএমটি) পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮৬২জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা থেকে জানানো হয়েছে, ৩২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৫৯৯জন ছাত্র এবং ১১ হাজার ৯৫৩জন ছাত্রী অংশ নেবে। ১৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় ১৩শ’ ২০জন ছাত্র এবং ১২শ’ ৮জন ছাত্রী অংশ নেবে। বিএমটি পরীক্ষা ১৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষায় ৩২শ’ ৩৭জন ছাত্র এবং ১৬শ’ ২৫জন ছাত্রী অংশ নেবে।

বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হজরত আলী জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে আজ শনিবার (২৯ জুন) থেকে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কোন কোচিং সেন্টার খোলা রাখার তথ্য আমরা পাই তবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ওই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।

পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না, শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

এছাড়া বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সাথে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS