ভিডিও

চাঁদপুরে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ 

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৪, ০৩:৩০ দুপুর
আপডেট: জুন ৩০, ২০২৪, ০৩:৩০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

করতোয়া নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলম টাকা ছাড়া করেন না কোনো কাজ। এছাড়া তিনি ঘুস নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করেন বলে এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।

এদিকে আলমগীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ রয়েছে একাধিক। গত ২৪ জুন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বকাউলের স্ত্রী আমেনা বেগম লাকী সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান অভিযুক্ত আলমগীর।

অভিযোগে আমেনা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নামীয় ৯ শতক জমি খাজনা দাখিল অনলাইন করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলমগীর আলম তাকে কাজটি করে না দিয়ে টালবাহান করেন। তিনি এই কাজের জন্য ওই কর্মকর্তাকে ২ হাজার ৫শ টাকা দিলেও সেবা পাননি। পরবর্তীতে গেলে আলমগীর আলম ও তার অফিসের ঝাড়ুদার তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।

আমেনা বেগম বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে তিনি হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘সরকার যে কয়টাকা বেতন দেয় তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করবো না।’ আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন সকলের দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম বলেন, সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম লাকী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উনি যখন আমার কাছে সেবা নিতে এসেছেন আমরা তখন অফিসের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর উনার কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে সমস্যা ছিল। সেজন্য কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তবে আমি উনার কাজ সম্পন্ন করেছি।

অভিযোগটি আমলে নেওয়ার পর উভয় পক্ষকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী ও অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS