ভিডিও

মিরসরাইয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৫ শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৯:০৩ রাত
আপডেট: জুলাই ০৩, ২০২৪, ১২:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

টানা চার দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে মৎস্য প্রকল্পের কয়েক লাখ টাকার মাছ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে।

কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, মিরসরাই সদর, মিরসরাই পৌরসভা, বারইয়ারহাট পৌরসভা, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে। পানিবন্দি হয়ে আছে ফেনাপুনি, ওসমানপুরের মরগাং ও খিলমুরালী গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। চুলায় পানি ওঠায় রান্নাও বন্ধ।

করেরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফরেস্ট অফিস থেকে একরাম সওদাগরের বাড়ি পর্যন্ত ওবায়দুল হক সড়কটি ভেঙে গেছে। এতে ব্যাহত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত দুই দিন আগে সড়কের কিছু অংশ ছত্তরুয়া ছড়ায় বিলীন হয়ে মানুষের চলাচল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ভারী বর্ষণে চরশরৎ এলাকার একটি নির্মিত সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কটি পরিদর্শন করেছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান ও ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা।

ওসমানপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের (পশ্চিম মরগাং) বাসিন্দা আহসান উল্লাহ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমাদের গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুই দিন চুলায় আগুনও জ্বলেনি। অপরিকল্পিতভাবে দীঘি খননের কারণে এই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে তার দাবি।

খিলমুরালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সুমন বলেন, বিএসআরএম বারোমাসি একটি খাল ভরাট করে ফেলায় এবং অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত তিন থেকে চার বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবউদ্দিন রাসেদ জানান, টানা বর্ষণে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর ভবনের খুব কাছে ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, খাল পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ দোকান-পাট ও স্থাপনা। এগুলোর কারণে বিভিন্ন খালে পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে প্রত্যক বছর নিম্নাঞ্চল এলাকা পানির নিচে ডুবে যায়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের পথ না রেখে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, যে বৃষ্টি হয়েছে আশা করি ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। কারণ পানি নিচের দিকে নেমে যাবে। যদি বৃষ্টি কয়েক দিন অব্যাহত থাকে তাহলে রোপা আমনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS