ভিডিও

বগুড়ার আদমদীঘির কোদবাউর-বিষ্ণুপুর সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ১১:০৫ রাত
আপডেট: জুলাই ০৩, ২০২৪, ১২:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির কোদবাউর-বিষ্ণুপুর গ্রামীণ কাঁচা সড়কে চলাচলে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের মাটি ভিজে গর্ত সৃষ্টি হয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে।

ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার চার গ্রামের যাতায়াতকারী প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। প্রায় দুই বছর আগে দেড় কিলোমিটার এই কাঁচা সড়কের অর্ধেক অংশ কার্পেটিং করে চলাচলের উপযোগী করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। এরপর ওই কাঁচা সড়কের অবশিষ্ট অর্ধেক কার্পেটিং কাজ না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে কাঁদাপানিতে সয়লাব হয়ে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনগণ।

অবিলম্বে এই সড়কের বাকী অংশের পাকাকরণ কাজ করার দাবি এলাকাবাসী। জাানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার সদর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার পূর্বে কোদবাউর-বিষ্ণুপুর, কোলাদীঘি ও পুশিন্দা গ্রামের মানুষ এই কাঁচা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন।

ওই চার গ্রামের লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জেলা, উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদামাটি ও খরা মৌসুমে ধূলোবালিতে সয়লাব হয়ে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি দেড় কিলোমিটার ওই সড়কের ৭০০ মিটার কার্পেটিং কাজ করে।

অবশিষ্ট অর্ধেক কাঁচা এই সড়কটি পাকাকরণ করা হয়নি। বর্তমানে এই কাঁচা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা অটো, ভ্যান, রিক্সা, মোটরসাইকেল, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কৃষকের উৎপাদিত পন্য বাজারে নেয়ার সময় অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়।

বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক শাহাজান আলী জানায়, বৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে চলতে খুব সমস্যা হয়। কাঁদাপানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী বলেন, এই সড়কটি অনেক পুরাতন। অবশিষ্ট অংশ পাকাকরণ না হওয়ায় জনগনের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে।

তিনি এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি অবিলম্বে পাকাকরণের দাবি জানান। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা জানান, সড়কটির কিছু অংশ কার্পেটিং করা হলেও বাকি অংশটুকু পাকাকরণের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে পাকাকরণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS