ভিডিও

পশু-পাখি নিয়ে নিদারুণ কষ্টে বানভাসিরা

প্রকাশিত: জুলাই ০৭, ২০২৪, ১১:৪২ রাত
আপডেট: জুলাই ০৭, ২০২৪, ১১:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজানের নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি অফিসগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজার।

কৃষিতে ১ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। পানি উঠেছে ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরমধ্যে প্রাথমিক ৩৩টি এবং মাধ্যমিক ২টি। বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বানভাসিরা নিদারুণ কষ্টে রয়েছে। বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা ও পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ১০ দিন হতে গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগি নিয়ে নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন জানালেন কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।

মানুষের চেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে পশু-পাখি। পানিতে, নৌকায় এবং কলাগাছের ভেলায় রাখা হয়েছে পশু-পাখিগুলোকে। উঁচু স্থানে পশু-পাখিগুলোকে সরিয়ে নিলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বন্যা কবলিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ছয়টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলো উঁচু স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাঁধ এবং আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS