ভিডিও

সরকারি স্কুলে শিক্ষক সংকট দপ্তরী নিচ্ছেন ক্লাস!

প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০৬:৫১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০৬:৫১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন একজন দপ্তরী । এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই এর মধ্যে তাদের সন্তানদের নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন।

উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়াচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, সকালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. সুমন হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন।

জানা যায়, স্কুলে দুই শিফটে ক্লাস হয়। প্রতি শিফটে একসঙ্গে তিনটি করে ক্লাস হয়। স্কুলে বর্তমানে চারজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনই প্রশিক্ষণে আছেন। প্রধান শিক্ষক মাসুদ মিয়া ঈদের বন্ধের আগে ১৩ জুন থেকে গাজীপুরের চাপুলিয়া এলাকায় লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। তার ট্রেনিং চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। সহকারী শিক্ষক নিগার সুলতানাকে এ বছরের ১ জুলাই থেকে গাজীপুর শহরের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১০ মাসের (বিটিপিটি) ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

এতে স্কুলে থাকা দুইজন শিক্ষকের পক্ষে একই সঙ্গে তিনটি ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরি মো. সুমন হোসেন ।

এদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু এখনই নয়, বছরের অধিকাংশ সময় শিক্ষকের এমন সংকট থাকে। তখনই দপ্তরি সুমন ক্লাস নেন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নির্দেশেই তিনি ক্লাসে যান।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবা আক্তার বলেন, তাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষকের পদ রয়েছেন। বর্তমানে সেখানে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক মাসুদ মিয়া এবং সহকারী শিক্ষক নিগার সুলতানা প্রশিক্ষণে আছেন।

স্কুলের শিক্ষক অভিভাবক কমিটির (পিটিএ) সভাপতি মাজহারুল হক বলেন, “শিক্ষক সংকটের মধ্যে দুইজন শিক্ষক একত্রে স্কুলের বাইরে কীভাবে প্রশিক্ষণে যান? শিক্ষা অফিস কীভাবে তাদের ট্রেনিংয়ের অনুমতি দিলেন, এটা আমার বোধগম্য নয়।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মিয়া বলেন, সামনে শিক্ষক নিয়োগের পর এ সংকট থাকবে না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে আমাদের শিক্ষক সংকটের কথা জানানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দিলারা রহমান বলেন, মির্জাপুর ক্লাস্টারে শিক্ষক সংকটের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রæত শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা শেষ হলে শূন্যস্থান পূরণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS