ভিডিও

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পতিত জমিতে আমবাগান লাভবান হয়েছেন চাষি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৫:৫৫ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৫:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

দুলাল অধিকারী, বাগজানা, জয়পুরহাট : ঝোপঝাড়ে ভরা দীর্ঘদিন ফসলহীন পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার করে প্রায় দেড়শ’ বিঘার আম বাগান করেছেন আইয়ুব আলী। জমিগুলো অল্প টাকায় লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা রোপণ করেন তিনি।

প্রথম দু’বছর বাগানে তেমন আম না ধরলেও এবছর গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। অতিরিক্ত জঙ্গলের কারণে এক সময় যেখানে মানুষ চলাচল করত না সেখানের গড়ে ওঠা বিশাল আমের বাগান দেখতে ও  ঘুরতে আসেন এখন অনেকেই।

আইয়ুব বাগানের আম বিক্রি করে নিজে যেমন লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে অনেক লোকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। আইয়ুব আলী একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘোরেন।

এরই সুবাদে উপজেলার মহিপুর মাওলানা ভাসানী সরকারি কলেজের পূর্ব পাশের বেতগাড়ি এলাকার বিশাল জঙ্গলের পতিত জমি লিজ নিয়ে গাড়ে তোলেন আমের বাগান। একাধিক জমির মালিক বলেন, “অতিরিক্ত ঝোঁপ-জঙ্গলের কারণে জমিগুলো বছরের পর বছর পরিত্যক্ত ছিল।

পরিষ্কার করার অভাবে কোন ফসল করা হতো না। গাছসহ ১২ বছর পর জমি ফেরত দেওয়ার শর্তে অল্প টাকায় জমিগুলো লিজ দেওয়া হয়েছে। আইয়ুব বলেন, জমির জঙ্গল পরিষ্কার, চারা ক্রয় ও রোপণ, সার-কীটনাশক, শ্রমিক খরচ, বাগান ঘেরা ও লিজ বাবদ মোট অর্ধ-কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

বর্তমানে বাগানে আম্রোপালী, বারিফোর, চোষা, হাড়িভাঙ্গা, কাটিমন, ব্যানানা ও সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন জাতের আম আছে। প্রথমে তেমন আম না ধরলেও এ বছর প্রচুর আম ধরেছে।” বাগানের ম্যানেজর আতোয়ার হোসেন বলেন, বাগানের অর্ধেক গাছের আম বিক্রি করা হয়েছে।

৩ টন বহনের ট্রাকে করে এ পর্যন্ত ২০ গাড়ি আম বাগান থেকে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানান। পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS