ভিডিও

জুনে সড়কে ঝরল ৮০১ প্রাণ

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আপডেট: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গত জুনে সারাদেশে ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮০১ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩ হাজার ২৬৭ জনের আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সময় রেলপথে ৪৬ দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত, ৯ জন আহত হয়েছেন। নৌ পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ৭ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

বুধবার  সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুনে দেশের গণমাধ্যম ও পঙ্গু হাসপাতালের তথ্যমতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬১২ টি দুর্ঘটনায় ৮৫৫ জন নিহত এবং ৩ হাজার ২৮৩ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ২১৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২২ জন নিহত, ১ হাজার ৯৩ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ ও আহতের ৩৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে- ১৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ২১৪ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে- ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রæটি, যানবাহনের ত্রæটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

অন্যদিকে, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রæতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোর্ত্তীণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেয়াকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS