ভিডিও

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ে ৪ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত
আপডেট: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে  যাত্রীবেশে  চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

নিহত মো. নুরুল ইসলাম মাধবদী থানার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাধবদী থানার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (২৭) সোহেল মিয়া (৩২) হৃদয় (২৭) ও নবী হোসেন (৩৫)। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৫ জুন মাধবদী থানার ভাটপাড়ার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম তার ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। ঐদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে মো. নুরুল ইসলাম তার ভাইকে মোবাইল ফোনে জানায় তার ব্যাটারি চালিত রিকশাটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১৬ জুন সকালে নরসিংদীর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুরগামী রাস্তার মাধবদী থানার দামের ভাওলা এলাকার একটি বড়ই গাছের সাথে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নুরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ এর তত্ত¡াবধানে অফিসার ইনচার্জ মাধবদী থানা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রিয়াজ উদ্দিন রনিসহ মাধবদী থানা পুলিশ আসামিদের ও ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার অভিযানে ৯ জুলাই মাধবদী থানার পুলিশ আসামি বাচ্চু মিয়াকে মাধবদী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন এলাকা থেকে একই দিনে সহযোগী আসামি হৃদয়, সোহেল এবং নবী হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, ১৫ জুন রাত আটটার দিকে নরসিংদী শহরে গ্রেফতারকৃত বাচ্চু মিয়া, হৃদয় এবং সোহেল চালক মো. নুরুল ইসলাম এর ব্যাটারি চালিত রিকশায় যাত্রী হিসেবে ওঠে। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসার পর আসামিরা মো. নুরুল ইসলামকে বরই গাছের সাথে পায়ে, পেটে এবং গলায় গামছা দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে হত্যা করে তার ব্যাটারি চালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরে তারা লুষ্ঠিত ব্যাটারি চালিত রিকশাটি নিয়ে নবী হোসেনের কাছে বিক্রি করে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে। আসামি নবী হোসেন ব্যাটারি চালিত রিকশাটি ক্রয় করার সাথে সাথেই এর কিছু যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা খুলে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। গ্রেফতারের পর আসামি নবী হোসেনের বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত ব্যাটারি চালিত রিকশার ২টি ব্যাটারি, একটি চাকা এবং একটি হেডলাইট সংযুক্ত মিটার বক্স উদ্ধার করে মাধবদী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS