স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারে ৫০ টাকার কমে মিলছেনা কোন সবজি। কোন কোন সবজির কেজির দাম ছাড়িয়ে ১শ’ টাকা। আবার ২শ’ টাকা কেজিতেও সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু প্রতিকেজি মানভেদে ৬০-৭০, পটল ও পেঁপেঁ ৫০, ঢেঁড়স ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাকরোল ১০০, বেগুন ও বরবটির কেজি ১২০, কাঁচামরিচ ২০০-২৪০, করলা ১৬০, পেঁয়াজ ১১০, আদা ৩০০, রসুন ২৪০, টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় সবজির দাম বাড়ে। মূলত, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিকে বাজারে প্রতিকেজি প্যাকেট আটা ৪৮-৫০, ময়দা ৬০-৬৫, মসুরের ডাল ১২০-১৪০, খেসারি ডাল ১০০ ও মুগ ডাল ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ১৩০-১৩৫, এক লিটার বোতলজাত তেল ১৬৫ এবং পাঁচ লিটার তেল ৮শ’ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ডিমের হালিতে চার টাকা পর্যন্ত দাম কমে ৪৮, ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে ১৭০ ও ককরেল মুরগি আগের দাম ২৭০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০-৭৫০, খাসির মাংস ১১শ’ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ২৭০-২৮০ টাকা, পাঁচ কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতিকেজি ৩০০-৩২০ এবং একই ওজনের বিগহেড মাছ ২৫০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হয়। চিংড়ির কেজি ৬শ’, টেংরা মাছ ৪৮০-৬০০, পাবদার কেজি ৪০০-৬০০ টাকা এবং ইলিশের কেজি আকারভেদে দুই হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।
অপরদিকে ঈদুল আজাহার পর থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ চাল। কোন কোন চালের দাম অপরিবর্তীত থাকলেও কিছু কিছু চালের কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে কাটারিভোগ চালের কেজিতে বাড়তি দামের প্রভাব বেশি। এই জাতের চাল আগে ৬২-৬৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম বেড়ে তা ৬৫ থেকে ৬৭ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিআর-২৮ (পুরাতন) চালের কেজিতে বেড়েছে দু’টাকা পর্যন্ত, ৫৮-৬০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায় চালটি। মিনিকেট চাল ৬৮-৭০, রঞ্জিত ৫৪-৫৫, স্বর্ণা ৫৫ আর বিআর-৪৯ চাল ৫৬ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।