ভিডিও

প্রশ্নফাঁস

সেই প্রিয়নাথের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, তিন ভাইকে নিয়ে দেন সরকারি চাকরি

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:৫১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৫:৫১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস চক্রের আটক ১৭ জনের অন্যতম প্রিয়নাথের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। জেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পল্লী এলাকায় গ্রামের বাড়ি হওয়ায় তার যাতায়াত ছিল গোপনে।

এলাকাবাসীর চোখে তেমন একটা না পড়লেও কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে নতুন করে জমিও কিনেছেন কয়েক বিঘা। বাড়িঘর কাঁচা হলেও সদ্য তুলেছেন সেমিপাকা বাড়ি। চার রুমবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরে তালাবদ্ধ থাকলেও একটি কক্ষে থাকেন তার মা রাজবালা। একটি ঘরে ধান বোঝাই বস্তা, অন্য ঘরে ফ্রিজ ও সোফা সেট থাকলেও তা খাটের ওপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

কেউ কেউ বলছেন, এলাকায় তেমন একটা সম্পদ না করলেও শ্বশুরবাড়ি দিনাজপুর ও ঢাকায় রয়েছে অঢেল সম্পদ। চার ভাইয়ের মধ্যে সবচে বড় প্রিয়নাথ রায়। এসএসসি পরীক্ষার পর বাবা রাইতু বর্মন মারা গেলে অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠে প্রিয়নাথ।

এরপর বন বিভাগে চাকরি নিয়ে সংসারে হাল ধরেন প্রিয়নাথ। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন প্রিয়নাথ রায়। এরপর জড়িয়ে যান প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাথে। এরই সুবাদে তার ছোট ৩ ভাইকে নিয়ে দিয়েছেন সরকারি চাকরি। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলাও রয়েছে একাধিক।

প্রিয়নাথের মা রাজবালা জানান, বড় ছেলে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তবে কিছুদিন থেকে প্রিয়নাথের স্ত্রী বাবার বাড়ি দিনাজপুরে অবস্থান করছেন। প্রিয়নাথ গত ৫ বছর থেকে তার মায়ের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না বলে দাবি করেছেন।

তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে তার ছেলে জড়িত নন বলে দাবি করে বলেন, এটি চক্রান্ত। স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা প্রিয়নাথের খোঁজ নিতে গেলে ছেলেকে বাঁচাতে তার মাকে আকুতি-মিনতি করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব কুমার জানান, এলাকার কাঞ্চন ও পাশের গ্রামের প্রকাশের কাছ থেকে  একশ’ শতাংশ জমি কিনেছেন। এছাড়া ২/৩ বছর আগে তার কাঁচাবাড়ি থেকে পাকা বাড়িও করেছেন।

যদিও ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িটি প্রকাশের নানার বাড়ি এলাকা। এখানেই তারা ছোট থেকে বড় হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রিয়নাথ এলাকায় আসেন, গোপনে। তাকে চোখে পড়ে না। তবে উপরে তদবিরের হাত থাকায় তার তিন ভাইকে সরকারি চাকরি নিয়ে দিয়েছেন।

সদর থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, চাকরি দেওয়ার নামে প্রিয়নাথের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, রয়েছে ওয়ারেন্টও।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS