ভিডিও

বগুড়ার

সারিয়াকান্দিতে ১৫শ’ মিটার বেড়ি বাঁধের অভাবে পানিতে নিমজ্জিত ৮ গ্রামের ১৩ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৮:৩১ রাত
আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২৪, ১২:৩৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া সারিয়াকান্দিতে ১৫শ মিটার একটি বিকল্প বেড়ি বাঁধের অভাবে প্রতি বছর পানিতে ডুবছে ৩ ইউনিয়নের ৮ গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ এবং ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নীচে থাকতেই প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা । বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প বেড়িবাঁধ দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

গত কয়েক বছর আগে উপজেলার কুতুবপুর, চন্দনবাইশা এবং কামালপুর ইউপির উপর দিয়ে যমুনা নদীর ডানতীরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি যমুনা নদীর ডানতীর হতে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ৩ ইউনিয়নের ৮ টি গ্রাম প্রতি বছর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের বাইরে চলে যায়।

এতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগেই এসব গ্রামের বাড়ি পানিতে ডুবে থাকে। যা কয়েক মাস স্থায়ী হয়। ফলে ঘুঘুমারী, শেখপাড়া, ফকিরপাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি এবং বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়াসহ ৮ টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। সেখানে কয়েক মাস তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন।

এ সময় তারা বিশুদ্ধ পানি, খাবার শংকট এবং পয়ঃনিষ্কাশন জনিত সমস্যায় ভোগেন। খাবার সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যায় পরে গৃহপালিত নানা ধরনের পশু পাখি। দীর্ঘ সময় পানি থাকায় ওই সব এলাকার ৬০০ একর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়।

৪২ কর্নিবাড়ি, ঘুঘুমারী, ঘুঘুমারী দক্ষিণ পাড়া, বয়রাকান্দি, ধলিরকান্দি ও ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আবু আব্দুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা সহ প্রায় ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হয়।

কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রতিবছর তিনি তার পরিবারসহ গবাদিপশু নিয়ে বর্ষার মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বউ বাচ্চা আর গরু ছাগল নিয়ে প্রতি বছরই তিনিসহ হাজারো পরিবার নানা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। প্রতিবছর ফসলহানি হয়ে তারা এখন দিন দিন ঋণগ্রস্থ পরছেন। একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ হলে তাদের ভোগান্তির অবসান হতো।

কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, আমার ইউনিয়নসহ ৩ টি ইউনিয়নের ৮ টি গ্রামের ১৩ হাজারের বেশি গ্রামবাসী প্রতি বছর পানি বন্দী হয়ে বন্যার সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এ সময় তারা নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হন। তাই এ দুর্ভোগ হতে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে দ্রুত এখানে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো: তৌহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে । তারা সেখানে একটি বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে পারবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS