ভিডিও

ভরা বর্ষায়ও নেই পানি গঙ্গাচড়ায় পাট জাগ দেওয়া  নিয়ে বিপাকে চাষিরা

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৮:৪২ রাত
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৮:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ভরা বর্ষায়ও খাল-বিলে, পুকুর ও ডোবায় পানি নেই। ফলে এবার পাটের ভালো ফলন হলেও জাগ দেওয়া যাচ্ছে না। পানির অভাবে সোনালী আঁশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ক্ষেতেই পাট ফেলে রেখেছেন তারা।

স্থানীয় চাষিরা জানান, গতবছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় তারা এবার পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। তবে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পানির সংকট। তাই পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। যে কারণে আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন পাটচাষিরা।

উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, চাষিরা পাট কেটে জমির পাশে, রাস্তার ধারে, খালবিল ও জলাশয়ের পাশে স্তূপ করে রেখেছেন।

কেউ আবার অল্প পানিতেই পাটের ওপর মাটিচাপা দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই গাড়িতে কাঁচা পাট বহন করে দূরে নদী ও ডোবায় পচাতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ পুকুর, খাল কিংবা এক-দুই কিলোমিটার দূরের নদীতে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে চাষিদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।

উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের কৃষক মিজানুর রহমান (৫০) বলেন, বৃষ্টি নেই নদী-খাল-বিল ও পুকুরে পানি নেই। খরার কারণে পুড়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। পাট কেটে কোথায় জাগ দেবো। প্রচন্ড দাবদাহে এবার পাট কাটতে গত বছরের তুলনায় শ্রমিক খরচ বেশি হয়েছে। আড়াই বিঘা জমির পাট কেটে খুব কষ্টে জাগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কৃষকের কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি (১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়)। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS