কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের কাহারোলে বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ করে সাড়া জাগিয়েছে চাষিরা। কাহারোল উপজেলার সমতল ভূমি হওয়ায় চাষিরা এখন আম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। উপজেলার ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষি মো. মিজানুর রহমান তার সমতল ১০ একর জমিতে মিশ্র বিভিন্ন প্রজাতির আমের বাগান গড়ে তুলেছেন।
বাগানগুলো এখন আমে ভরপুর। তাই দেখতে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন। বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালী, ব্যানানা ম্যাংঙ্গ, কিং অব চাকাপাতি, রেড কারলিন, গৌড়মতি, চিয়াং মাইং, বড় লাইকিং, কিউজাইয়িং কার্ডিমুনসহ নানা জাতের আম উৎপাদিত হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতিতে। এই সব গাছে ব্যবহার করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক।
এতে ভোক্তাদের কাছে অর্গানিক আমের চাহিদা বাড়ায় বাজারে আমের দাম বেশ ভালো। এক জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষি। আম পাকা শুরু হলে তা প্যাকেটজাত করে জেলা ও দেশের বিভিন্ন পাইকারি আড়ত কিংবা কুরিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। বাগানের এই আম কিনতে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা।
আম চাষি মো. মিজানুর রহমান বলেন, একজন ভালো কৃষক নিজের এবং দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। যদি সে মননশীল হয়। তিনি আরও বলেন, বিগত তিন বছর যাবত বাগানে যে পুঁজিটি ব্যয়টি করেছি, এবার আশা রাখি কিছুটা লাভের মুখ দেখব কারণ এবার বাগানে আমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে এবং বাজারেও মোটামুটিভাবে দাম রয়েছে। বাগানের আম আগামী অক্টোম্বর মাস পর্যন্ত বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীষ জানান, কৃষকদের প্রকল্পের আওতায় এনে বিষমুক্ত অর্গানিক আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আম এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। অর্গানিকভাবে আম উৎপাদন করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।