ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় টিআর প্রকল্পের ১৮ লাখ টাকা ফেরত গেছে

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১১:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে টিআর, কাবিটা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করায় বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১৮ লাখ টাকা ফেরত গেছে।

ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বগুড়ার সোনাতলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে টিআর কাবিটা’র বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ছিলো গত ৩০ জুন। নির্ধারিত সময়ে ওই প্রকল্প গুলোর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রকল্প চেয়ারম্যানদেরকে ৩০ জুনের পর টাকা ফেরত দিতে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যানরা তাদের অনুকুলে বরাদ্দ দেওয়া (উত্তোলনকৃত) টাকা ফেরত দেয়।

এ বিষয়ে মূলবাড়ী নূরপুর সড়কে অবস্থিত শ্মশানের রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পের জন্য দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যান নিরাঞ্জন চন্দ্র বলেন, সমস্ত টাকার মাটি কাটার পরেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা পরিদর্শনের পর মাটি কাটার পুনরায় নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী মাটি না কাটায় ওই প্রকল্পের ৩৭ হাজার ৪১৩ টাকা সরকারি কোষাগারে ট্রেজারি মূলে ফেরত দেয়া হয়।

বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, তার পরিষদের নামাজ ঘর সংস্কার বাবদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত জায়গায় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে পারিনি। ফলে অগ্রিম দেওয়া ১ লাখ টাকা ট্রেজারি মূলে তিনি ফেরত দিয়েছেন।

এ দিকে একই অর্থ বছরে সোনাতলা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের উন্নয়নে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। এদিকে ওই পত্রের জবাবে একই কলেজের পক্ষ থেকে প্রকল্পের কাজ শেষ উল্লেখ করে পাল্টা চিঠি প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, গত অর্থ বছরে(২০২৩-২০২৪) টিআর কাবিটার যে প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যানেরা যে প্রকল্পগুলো দাখিল করেছেন, তার অনেকগুলোর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় সরকারি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন কিছু কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় এই টাকা ফেরত গেছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, সরকারি টাকা আনতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক মন্ত্রী ও সচিবদের অফিসে গিয়ে ধর্ণা ধরতে হয়। তারপর টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাওয়ায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখিত। ওই টাকাগুলোর কাজ হলে অনেক প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাটের চেহারা পরিবর্তন হতো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS