ভিডিও

বন্ধ হয়নি রাণীনগরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৫:৪১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৫:৪১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশংসাপত্র ও সনদপত্র বিতরণের ফাঁদে ফেলে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় এখনও বন্ধ হয়নি। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রশংসাপত্র নিতে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ৩শ' অথবা ৩৫০টাকা প্রদান করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। শুধু ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ই নয় উপজেলার অন্যান্য প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সনদপত্র বিতরণের ফাঁদে ফেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে আসছে। আবার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবৈধ এই নিয়মকে বৈধ করতে স্কুলের রশিদ বইয়ের মাধ্যমে আদায় করছেন অতিরিক্ত অর্থ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, সন্তানের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হলে বিষয়টি বিদ্যালয়ের করণিককে জানালে তিনি ৩শ' টাকা নিয়ে আসতে বলেন। পরে ৩শ’ টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র সংগ্রহ করেছি।

উপজেলার একাধিক বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষকরা মুঠোফোনে জানান, আমরাও সনদপত্র নেওয়ার সময় স্কুলে টাকা দিয়েছি। বিদ্যালয়ের সকল অভ্যন্তরীণ খরচ ও বিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পের বিভিন্ন কাজের অর্থের যোগান দিতেই মূলত সনদপত্র বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়। তবে রশিদের মাধ্যমে সেই অর্থ আদায় করলে তা সরাসরি বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়। ব্যক্তিগতভাবে সে অর্থ খরচের কোন উপায় থাকে না।

ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সনদপত্র নিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করা হতো তা বন্ধ করেছেন। কোন প্রকারের টাকা ছাড়াই প্রশংসাপত্র কিংবা সনদপত্র বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নিষেধের পরও কেন টাকা নিয়ে প্রশংসাপত্র  বিতরণ করা হলো সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সকল দেনা-পাওনা আদায় করেই তাকে পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান করা হয়। এই বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের টাকা না নিতে কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছি।

এরপরও যদি কোন প্রতিষ্ঠান টাকা আদায় করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS