ভিডিও

সিরাজগঞ্জে কৃষি বিভাগের সহায়তায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৯:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকের বাড়ির আঙিনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পতিত স্থানে এ চাষাবাদে ব্যাপক লাভের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের বাড়ির আঙিনায় এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি বস্তায় আদা চাষাবাদ।

সচেতনতার অভাবে এসব স্থান কিছুদিন আগেও পতিত, পরিত্যক্ত ছিল। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগী এবং পরামর্শে কৃষকরা এখন এসব স্থানে বস্তায় আদা চাষাবাদ শুরু করেছেন। প্লাস্টিক ও পাটের বস্তা কেটে তাতে পরিমাণ মতো মাটি, কম্পোস্ট সার দিয়ে তাতে আদার বীজ বপন করা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে এই বস্তায় বীজ বপন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রতিটি বস্তায় আদা গাছ তরতর করে বেড়ে উঠছে। সবুজ পাতায় ভরে গেছে প্রতিটি গাছ। এর নিচে ধরেছে প্রচুর পরিমাণ আদা। নতুন পদ্ধতির এ চাষাবাদ প্রথম বছরেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ চাষাবাদ ঘিরে আগামীতে ব্যাপক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা।

সলঙ্গা থানার মাছিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক চাঁদ আলী দেওয়ান জানান, তার বাড়ির আঙিনায় পতিত স্থানে ৫শ’ বস্তায় তিনি আদা চাষাবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রকল্পের আওতায় এই চাষাবাদে তাকে সবকিছু ফ্রি দেয়া হয়েছে। আদা রোপণ, পরিচর্চা থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষি কর্মকতারা নিয়মিত তদারকি করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার বস্তায় আদা চাষাবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ১শ’টন আদা পাওয়া যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর জানান, মসলার উন্নতজাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আদা চাষাবাদে বীজসহ সকল উপকরণ দেয়া হয়েছে।

ফলে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা এই আদা সারাবছর নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। ইতোমধ্যে এ চাষাবাদের ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা দেখা যাওয়ায় জেলা জুড়ে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আশা করছি সামনে মৌসুমে এ চাষাবাদ কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS