ভিডিও

কুড়িগ্রামে ভাঙছে নদী বাড়ছে গৃহহীন পরিবার

প্রকাশিত: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ১১:২৮ রাত
আপডেট: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ১১:২৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

এম আর মিন্টু, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে বেড়েছে নদ-নদীর তীব্র ভাঙন। গৃহহীন হয়ে পড়ছে শতশ’ পরিবার। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি এবং বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হচ্ছে। এছাড়াও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিকও ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র নদের তীর রক্ষা প্রকল্পসহ বেশকিছু প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ শুরু করা হবে।

কুড়িগ্রাম চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল গ্রামের বাসিন্দা মিনারা বেগম বসতভিটে হারিয়ে এখন সর্বহারা হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কারণে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করতে ব্যস্ত তার মতো গ্রামের আরও ১০-১২টি পরিবার। শুধু চিলমারী উপজেলা নয় জেলার উলিপুর, রৌমারী, নাগেশ^রী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট এবং সদর উপজেলার বেশকিছু স্থানে চলছে ভাঙন।

উলিপুর সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জাফর হোসেন বলেন, চলতি বন্যায় তার ইউনিয়নে ১৯৭ পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নি:স্ব হয়েছে। এর মধ্যে হকের চরে ৯০ পরিবার, দক্ষিণ নামাজের চরে ৪৭ পরিবার ও দৈখাওয়ার চরে ৬০ পরিবার ভাঙনের শিকার হয়। তিনি আরও জানান, ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ পরিবার এরমধ্যে ৫শ’ পরিবার স্বচ্ছল। বাদবাকি সবাই কম বেশি গরিব।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, শুধু ঘরবাড়ি নয় নদ-নদীর ভাঙনে শতশত একর কৃষি জমিও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে উত্তরের অবহেলিত এই জনপদের মানুষকে।

ভাঙন চলছে সারডোব, জগমহনেরচর, সিতাইঝাড়, ছিনাইকালুয়া, যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, ভোগডাঙ্গা, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, ঠুটাপাইকর, থেতরাই, ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, চরবলদিয়া, পাইকডাঙ্গা, ছিটপাইকের ছড়া, ধলডাঙ্গা, বালারহাট, চর ব্যাপারি গ্রাম, মাঝিপাড়া, বল্লভেরখাস, কড়াই বরিশাল, শাখাহাতি, মনতলা, সোনাপুর, চরগেন্দার আলগা, হকের চর, চর গুজিমারী, কুঠির চর খানপাড়া, ঝাউবাড়ি, চরসাজাই, নাওছালা, কোদালকাটি বাজার, শিকারপুর, কীর্তন তরিসহ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS