ভিডিও

রংপুরে সংঘর্ষে রসিকের কাউন্সিলরসহ নিহত ৪, সাংবাদিকসহ আহত ৫০

প্রকাশিত: আগস্ট ০৪, ২০২৪, ০৭:৫০ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ০৪, ২০২৪, ০৯:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : বিভাগীয় নগরী রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। এসময় সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়। আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে।

নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা। নিহত অন্যরা হলেন- নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খায়রুল মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শহর ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেয় নগরীর টাউন হল চত্বরে। সেইসাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন।

দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাহাজ কোম্পানী মোড় থেকে পায়রা চত্বরে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা সিটি কর্পোরেশনের দিকে চলে যায়। পরে টাউন হল কেন্দ্রিক অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে পাল্টা ধাওয়া করে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।

তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আবারও জাহাজ কোম্পানী মোড় থেকে পায়রা চত্বর পুনরায় অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পরেন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রসিক কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা।

পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পরলে সেখানেই এলোপাতারি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপার্সন আরমান, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফকরুল শাহীন, নিউজ টুয়েন্টিফোর রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মারধর করেছে আন্দোলনকারীরা।

অন্যদিকে রংপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর নগরীর সিটি কর্পোরেশনের সামনে, সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানী ও পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আজকে কোথাও প্রতিরোধ কিংবা অবস্থান করতে দেখা যায়নি।

এদিকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্যরা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমানে আসলেও রংপুরে আসতে পারেনি। পরে তারা ঢাকায় ফিরে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশে^র হাসান। বর্তমানে রংপুর নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS