ভিডিও

পঞ্চগড়ের বোদায় যেখানে দই-চিড়া খেতে অগ্রিম সিরিয়াল

প্রকাশিত: আগস্ট ০৭, ২০২৪, ০৬:৫৪ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ০৭, ২০২৪, ০৬:৫৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : একটা সময় ছিল সকাল বা বিকেলের নাস্তায় চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, খই, গুড় এবং বাড়িতে তৈরি দই বেশ জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ কোনো উৎসব বা পার্বণে দই-চিড়ার বিকল্পই ছিল না। সময় গড়ানোর সাথে সাথে মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা যেমন এসেছে, তেমনি খাবারেও এসেছে ভিন্নতা।

বিলুপ্তির পথে পা বাড়ানো সেই দই-চিড়া-মুড়ি পুণরায় বাজারে বিক্রি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভীমপুকুর বাজারের আনারুল ইসলাম। তার ছোট্ট দোকানে সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি দই আর চিড়া-মুড়ি-খইয়ের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে পরিবারেও এসেছে স্বচ্ছলতা।

এখন তার দই-চিড়া খেতে চাইলে দিতে হয় অগ্রিম সিরিয়াল। স্কুল শিক্ষক এনামুল হক বলেন, বাজারে আসা দেশি-বিদেশি খাবারের প্রভাবে অনেকটা অজান্তেই প্রাচীনকাল থেকে বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যবাহী খাবার চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, দই, গুড় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সেখানে এখন প্রবেশ করেছে বার্গার, পিৎজা, স্যান্ডুইজ, পাউরুটি, পরোটাসহ নানান পদের খাবার।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, মানুষের সেই পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মজাদার খাদ্যাভ্যাস পুনরায় নতুন স্বাদে ফেরাতে আনারুল ও রেজিনা দম্পতি বাড়িতে তৈরি দই-চিড়া, মুড়ি-মুড়কি সাথে নালি গুড়ের (তরল গুড়) দোকান দিয়ে স্থানীয়দের দৃষ্টি কেড়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের পরিবেশিত সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিয়ে জেলা শহরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন তার ছোট্ট দোকানে।

আনারুলের স্ত্রী রেজিনা বলেন, বাজার থেকে দুধ কিনে দই তৈরি করে তাদের দোকানে বিক্রি করেন। এতে বাড়তি জনবল না নেয়ায় লাভ ভালো হচ্ছে। মানুষ তাদের তৈরি দই-মুড়ি-চিড়া-মুড়কি পছন্দ করায় তিনিও বেশ আনন্দ পাচ্ছেন।

দোকানদার আনারুল ইসলাম জানান, এক সময় তিনি চায়ের দোকান করতেন। বেচাকেনা খুব একটা ভালো হচ্ছিল না। তাই কৌশল পাল্টিয়ে বাঙালির অতি প্রাচীন দই-চিড়ার ব্যবসা শুরু করে সফলতার দেখা পেয়েছেন।

কথায় বলে, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে, সেই চিরন্তন সত্য কথাটি পুনরায় প্রমাণ করে এগিয়ে যাচ্ছে দই-চিড়া বিক্রেতা আনারুল। বাজারে আসা চটকদার খাবারের ভিড়ে গ্রাহকদের পুরোনো বাঙালি খাবার পরিবেশন করে তিনি যেমন খুঁজে পেয়েছেন স্বচ্ছলতার মুখ তেমনই নিরাপদ খাবার খেয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন গ্রাহকেরা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS