সময় কেটেছে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে
স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিনে ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতার পর দোকানগুলো বগুড়ার অধিকাংশ মার্কেটের। বিভিন্ন জেলা থেকে দু’একজন ব্যবসায়ী পণ্য কেনার জন্য আসছেন।
প্রয়োজনীয় কাজে মার্কেটে যাচ্ছেন স্থানীয়রাও। লাগাতার বন্ধের পর আবারও নিরব হয়ে যাওয়া ব্যস্ততা আগের মত না থাকলেও জাগতে শুরু করেছে। এতে অঅশান্বিদ হদে শুরু করেছেন মার্কেটে কর্মরত শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে তারা বলছেন, টানা বন্ধের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ দোকানের মালিক ও শ্রমিকরা সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশব্যাপী যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদে রাখতে মার্কেট বন্ধ করে রাখেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার মার্কেটের কিছু দোকান খুললেও বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) মার্কেটের অধিকাংশ দোকান খুললেও সবার মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। তারা আরও বলেন, চলমান আন্দোলনে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে সারাদেশে সেটা দেখে তারা শঙ্কিত। মার্কেট খুললেও বেশিরভাগ দোকানে মালিক এবং কর্মচারীদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে দেখা গেছে। এই অবস্থায় খুব তাড়াতাড়ি দেশে ব্যবসার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ চান তারা।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বগুড়ার নিউমার্কেটের মেসার্স সজিব বস্ত্রালয়ে স্বত্তাধিকারি মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সেই সাথে উৎকন্ঠা ছিল। দেশে বর্তমানে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি মোটামুটি ঠিক হয়ে উঠেছে।
এজন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খোলা হয়েছে। সেদিন ক্রেতা কম থাকলেও আজ শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শহরের ছমির উদ্দিন নিউ মার্কেটের শাড়ির দোকান রণি ক্লথ স্টোরের বিক্রয় প্রতিনিধি মোঃ কোরবান আলী জানান, তারা গত বুধবার থেকে দোকান খুলেছেন। এই ক’দিন শুধু শহরের কিছু ক্রেতা মার্কেটে এলেও বাইরের ক্রেতা একেবারেই ছিল না।
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মার্কেটে এখনও ক্রেতারা ভিড়ছেন না। তবে আজ শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্য কিছুটা বেড়েছে। হয়তো আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে হয়ে উঠবে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই মার্কেট।
একই অবস্থা বগুড়ার হকার্স মাকেটেও। গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি দোকান খুললেও আজ শনিবার (১০ আগস্ট) মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান খুলেছে। এই মার্কেটের রাহীমনি ক্লথ স্টোরের এক বিক্রয় প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংস ঘটনার জন্য মার্কেট বন্ধ ছিল। প্রায় ১ সপ্তাহ পর মার্কেটের দোকানগুলো খুলেছে। কিন্তু মার্কেটে ক্রেতা একবারেই নেই।
সবাই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গল্প-গুজব করে কাটিয়েছেন সারাটা দিন। মার্কেটের দোকানগুলো খুললেও শহরের অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত জলেশ্বরীতলার বেশিলভাগ বিপনীবিতানগুলো খুলেনি। কিছু কিছু খুললেও তাতে ছিল না কোন ক্রেতা।
অনেকে তাদের শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে বন্ধ দোকান খুলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। তারা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য স্বাভাবিক হবে এবং ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে মার্কেটে আসবেন তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার জন্য।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।