নিউজ ডেস্ক:  চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আজাদ সরকার (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

নিহতের ছেলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে গত বুধবার মামলাটি করেন।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ। 

মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ জনকে। এদের মধ্যে এজাহার নামীয় আসামি নুরু কাজীকে (৫২) পুলিশ গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

নিহত আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকেলে নিজ বসতবাড়ির সামনে আজাদ সরকারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই কুমিল্লার একটি হাসপাতালে মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে মামলা দায়ের করা যায়নি। এ কারণে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে হিমেল। 

মামলায় একই গ্রামের কাজী বাড়ির ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঠু কাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী, নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে সুমনকে আসামি করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, এজাহার নামীয় আসামি নুরু কাজীকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।