ভিডিও

কুড়িগ্রামে মাচায় বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বাড়ছে আগ্রহ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৭:০৭ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৭:০৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :  বন্যাপ্রবণ কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচর। প্রতিবছর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে এসব এলাকার শাকসবজি নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাচায় বস্তা পদ্ধতিতে সবজিচাষে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।

এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি চাষের পাশাপাশি লাভজনক আদাচাষ করে সাফল্য পাওয়ায় খুশি বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাওয়ায় গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পরছে পদ্ধতিটি।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর ৪ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে শাকসবজি, ৭২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ এবং ৫৭০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করা হয়। জুলাই মাসে প্রবল বন্যায় ৭৩৭ হেক্টর শাকসবজি, ৩৭ হেক্টর মরিচ ও ১১ হেক্টর জমির আদা বিনষ্ট হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করে শাকসবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলায় প্রতিবছর শাকসবজি বিনষ্ট হওয়ায় চরাঞ্চলে সবজি ও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। উচ্চমূল্যেও পাওয়া যায় না সবজি। এসব দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চরগুলোতে পাইলটিংভাবে মাচায় বস্তা পদ্ধতিতে সবজিচাষ শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম শহরে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ ট্রান্সবাউন্ডারী প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের অফিস চত্বরে প্রদর্শনী প্লট হিসেবে ২শতাধিক বস্তায় আদা ও বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এই প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার শাহজাহান মিয়া জানান, বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রতিটি পরিবার ১০ থেকে ১৫টি বস্তায় এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এতে খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার টাকা।

সবজি খাওয়ার পর প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার আদা বিক্রি করতে পারছেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বস্তা সড়িয়ে ঘরের ভিতর নিরাপদে রাখতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, বন্যায় খাবার ও সবজির সংকট কমাতে চর এলাকায় সবজিচাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। প্রদর্শনীমূলকভাবে মাচায় আদাচাষের পাশাপাশি বেগুন, মরিচ, বরবটি, পুঁইশাক, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হচ্ছে। যাতে এই শিখন চরে কাজে লাগানো যায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS