ভিডিও

নওগাঁর রাণীনগরে মাদার কেয়ার স্কুলে ভাঙচুর-লুটপাট, পাঠদান বন্ধ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৭:১৬ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৭:১৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে ৫ আগস্ট বিকেলে নওগাঁর রাণীনগরে উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

সেদিন মাদার কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজেও রক্ষা পায়নি। ব্যাপক ভাঙচুর করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জানালা, দরজা, চেয়ার টেবিল, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্র প্রকাশ্য দিবালোকে লুটপাট করা হয়। ফলে ওই স্কুলের সহসাই পাঠদান ব্যবস্থা কার্যক্রম চালু হওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলী রয়েছেন উৎকন্ঠায়।

জানা যায়, ২০১৫ সালে উপজেলা সদরের রাণীনগর প্রেস ক্লাব মোড়ে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের পরামর্শে তৎকালীন সময় নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম মাদার কেয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন।

যা ইতোমধ্যে সুনামের সাথে পাঠদান করার কারণে সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমতিও পেয়েছে। শুরুতেই প্রথম শ্রেণি থেকে অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চললেও সংসদ সদস্যের মৃত্যুর পর কলেজ পর্যন্ত উন্নতি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পাঠদান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

লুটপাট আর ভাঙচুরের আতঙ্কের কারণে অভিভাবকরা তার সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির চিন্তা ভাবনা করছেন। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক রহিমা খাতুন জানান, প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই আমি এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি।

গত ৫ আগস্ট ভাঙচুর আর লুটপাটে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২শ’ চেয়ার, ৮৫টি টেবিল, ২৫টি ফ্যান, ১৩টি জানালা, ১টি দরজা, ১টি কম্পিউটারসহ অন্যান্য আসবাব পত্র লুটপাট হয়েছে। স্কুলটি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত যেমন অনিশ্চিত, আমরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছি। দ্রুত এর একটা সুষ্ঠু সমাধানের দাবি করছি।

মাদার কেয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আপাতত বন্ধ আছে। তবে শিক্ষার্থীদের চিন্তা মাথায় নিয়ে অন্য কোন ভবনে পাঠদান শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান জানান, যেহেতু ওই স্কুলটি আমাদের আওতায় না হওয়ার কারণে ওই বিদ্যালয়ে কি ধরণের সমস্যায় পাঠদান বন্ধ আছে তা আমার জানা নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS