ভিডিও

চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হওয়ায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৩:২২ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৩:২২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  ঢাকার সাভারে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হওয়ায় রাকিব নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার, ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যসহ তার বন্ধুরা।

মৃত রাকিব (২০) সাভারের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সড়কে আহত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে রাকিবকে বেসরকারি এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগে টাকা না দেওয়ায় দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আহত রাকিবকে হাসপাতালে আনার পরপরই চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। তার সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলা হলে কাউন্টারে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় ব্যয় হয়। এই সময়টিতে রোগীর চিকিৎসা চললেও তারা ভেবেছে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিলো। চিকিৎসায় কোন অবহেলা করা হয়নি।

নিহত রাকিবের বন্ধু পরিচয় দিয়ে মাহমুদুল হাসান পাভেল নামে এক তরুণ বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে রেডিও কলোনিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারত্বকভাবে আহত হন রাকিব। পরে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা বন্ধুরা রাত ২টার দিকে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যখন রাকিবকে ভর্তি করতে বলা হয় তখন চিকিৎসকরা আগে টাকা দিতে হবে তারপর ভর্তি করা হবে বলে জানান। তখন বন্ধুরা বলছে, আমাদের কাছে টাকা নাই, বাইকের চাবি আছে, ফোন আছে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন, যাতে সে বেঁচে যায়। কিন্তু তারা বলে আগে টাকা লাগবে। তখন পরিচিত একজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পর তার মাধ্যমে রাকিবকে ভর্তি করা হয়। দেরিতে চিকিৎসা শুরু করায় পরে সে মারা যায়।

এদিকে এঘটনায় সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রাকিবের পরিবারের সদস্যসহ তার বন্ধুরা। পরে তারা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রওশন আরার সঙ্গে দেখা করে রাকিব হত্যার বিচারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ, আগে টাকা পরে চিকিৎসা এই প্রথার বিলোপ, রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য রোধ, সহনীয় মাত্রার সার্ভিস ফি নির্ধারণ, হাসপাতালের নিয়ম অনুসারে সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, রাকিব হত্যার ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

বেসরকারি এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রওশন আরা বলেন, আমাদের পুরো হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমাদের কোনো স্টাফ কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা করেছে এমন কিছু যদি পাওয়া যায় আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো। দুর্ঘটনায় আহত কারো চিকিৎসা টাকা কিংবা অন্য কোনো কারণে আটকে ছিলো এমন ঘটনা কখনোই ঘটেনি। রোববার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমরা সবাইকে নিয়ে বসবো। যারা এসেছিলেন তারা যেসকল দাবি জানিয়েছেন সেগুলো আমরা মেনে নিয়েছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS