ভিডিও

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও  বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১০:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাহুল হত্যার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেছেন সদর উপজেলার উপশহর এলাকার সাহারউদ্দিনের ছেলে মো. রুহান হোসেন (৪১)। মামলায় ২০ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ জন। যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে নামে। শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় এলে ইকবালুর রহিম ও ইনায়েতুর রহিমের পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপও চড়াও হয়।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বন্দুক, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ  শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও বিজিবি টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় রাহুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে রাহুলকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ (৫০), সাধারণ সম্পাদক  আনোয়ার হোসেন (৫০), আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষন কাঞ্চন (৫৪), শাহ আলম (৪৯), খোয়া ব্যবসায়ী মো. রমজান (৫২), যুবলীগ নেতা সালেকীন রানা (৪২), মোঃ আবু ইবনে রজব (৪৮), যুবলীগ নেতা মো. মিথুন (৪০), ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সুইট (৩০), ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা (৬২), জন (৩৫), মো. হারুনর রশিদ রায়হান (৩৫), শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম (৫৫), সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার (৬৫), শশরা ইউপি চেয়ারম্যান রানা (৫৫), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম (৬২) ও ছাত্রলীগ নেতা মো. মিথুন (৩২)। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪ থেকে ৫শ’ জনকে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তভার এসআই জহিরুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS