ভিডিও

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন ও সমাবেশ

রংপুর চিনিকলসহ বন্ধ সকল চিনিকল চালু ও  চিনিশিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৪:২০ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৪:২০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

মহিমাগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : বিগত সরকারের শাসনামলে চিনিশিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারী মন্ত্রী, আমলা ও অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিচার এবং বন্ধ হয়ে থাকা রংপুর চিনিকলসহ বন্ধ সকল চিনিকল চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার  দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ওই চিনিকলের চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার অর্ধসহস্রাধিক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে একাত্মতা ঘোষণা করেন। 

প্রথমে চিনিকলের প্রধান ফটক এলাকায় শুরু হলেও মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচিটি গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কে পৌঁছে যায়। এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা তথা উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ রংপুর চিনিকলটিকে রাজনৈতিক কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এই চিনিকলের চাইতে দুই তৃতীয়াংশ কম আখের যোগান নিয়েও পাশের জেলার চিনিকলটি চালু রাখা হয়েছে। এই বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনিকলের আখ দিয়েই ওই কারখানাটি বর্তমানে চালু রয়েছে। তারা বলেন, অবৈধ চিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেডের কারসাজিতে বিগত স্বৈরাচারী সরকার চিনিশিল্পকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছিল। অবিলম্বে ওই অশুভ চক্রকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে সকল বন্ধ চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে চালু করতে হবে। 

আব্দুর রহিম বোরহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ওমর ফারুক, অয়ন সুলতান, মহিমাগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন সাগর, আতিক শাহরিয়ার শান্ত, পলাশ ইসলাম জয়, সামিউল্লাহ শাহ ফকির। সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, আলহাজ মোহাম্মদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, রংপুর চিনিকলের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য তৈয়ব হোসেন, মহিমাগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা রতন, শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন ফটু, কৃষক নেতা আতাউর রহমান নান্নু প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অশীতিপর আখচাষি নেতা জিন্নাত আলী প্রধান উপস্থিত ছিলেন। পরে একটি বিশাল মিছিল স্থানীয় প্রধান প্রধান সড়ক প্রক্ষিণ করে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS