বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের হামলার প্রেক্ষিতে কারাগার থেকে পালানো সব বন্দিদের আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মনিরুল হাসানের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে কারাগার থেকে পালানো কারাবন্দিকে সংশ্লিষ্ট আদালত অথবা থানায় অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা, রামদা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শেরপুর জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা বন্দিদের ওয়ার্ড ভেঙে সেসবে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিপুলসংখ্যক মানুষের হামলার মুখে কারারক্ষীরা অসহায় হয়ে পড়েন। এসময় কারাগারের ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যায়।
এসময় হামলাকারীরা কারাগারের ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি, শটগানের ৩৩৬টি গুলি ও কারাবন্দিদের জন্য মজুত করা খাদ্যসামগ্রী, টাকা-পয়সা লুট করে। সেইসাথে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনসহ মূল্যবান রেকর্ডপত্র, গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার লিপি রানি সাহা বাদী হয়ে ১০-১২ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।