ভিডিও

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তাসেতু এলাকা বিনোদন কেন্দ্রে রূপ নিচ্ছে

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ১১:১২ রাত
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ১১:১২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা সেতু পয়েন্টে কোন পার্ক গড়ে না উঠলেও প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় সকলের নজর কেড়েছে। বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার মত সম্ভাবনাময় জোন সৃষ্টি হয়েছে তিস্তা সেতু এলাকায়।

স্থানীয়রা বলেন, উপজেলা ছাড়াও গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত দর্শনার্থী এখানে আসেন। অনেকে ছোট নৌকা নিয়ে নদীতে, আবার অনেকে পাড়েই ঘুরে বেড়ায়। দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা অনেকটা বেশি। তবে শিশুরাও মা বাবার সাথে আসছে প্রতিদিন। এখানে তেমন কোন দোকানপাট না থাকলেও ভাসমান কয়েকটি দোকান রয়েছে। যেখানে মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়।

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার সাথে সংযোগকারী রক্ষাকারী সড়কের হরিপুর-চিলমারী পয়েন্টে খরস্রোতা তিস্তা নদীর ওপরে ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার তিস্তা সেতু নির্মাণ করছেন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুটি নির্মাণে অর্থ প্রদান করছেন সৌদি ডেভেলপম্যান্ট ফান্ড। এতে ব্যয় হবে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে।

সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাইরের অংশে।

সেতুর উভয়পাশে নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয়পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।


২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুরÑচিলমারী তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের পর ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংযোগ সড়কসহ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আ.ব.ম শরিয়তুল্লাহ মাস্টার বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে।

এরপর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামাণিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শতকরা ৩৫ ভাগ এবং মূল সেতু নির্মাণের কাজ শতকরা ৮ ভাগ বাকি আছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মানাফ জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে একটি চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। সেতুর দুই পাশে বিনোদনের জোন সৃষ্টি হবে। সম্ভাবনাময় এই পয়েন্টে এখন শিল্পপতিদের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। এখানকার মানুষজনের জন্য এটি একটি অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS