ভিডিও

জিম্মি ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে যে উৎকণ্ঠা শুরু হয়েছিল অবশেষে তার অবসান ঘটল। 
সোমালিয়ান উপকূলে রুদ্ধশ্বাস ৩১ দিনের বন্দিত্ব শেষে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি নাবিকদের নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

২০ এপ্রিল নাগাদ হামারিয়া বন্দরে নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ। এই বন্দরে কয়লা খালাসের পর জাহাজের পরবর্তী গন্তব্য নির্ধারণ করবে চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্প গোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং কর্পোরেশন। নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী উড়োজাহাজ কিংবা এমভি আব্দুল্লাহতে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে তাদের।

কবির গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, জাহাজ জিম্মি হওয়ার প্রথম দিনই আমরা কাজ শুরু করি। আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার সহায়তা নিই। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রি সভার বৈঠক থেকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে পেরেছি।

তথ্য মতে, ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় একে একে ৬৫ জলদস্যু নেমে যায় এমভি আব্দুল্লাহ থেকে। ৯টি বোটে করে তারা চলে যায় রাতের আঁধারে। আর যাওয়ার আগে নাবিকদের উদ্দেশে বলে যায়, ‘তোমরা এখন মুক্ত’ এর পরপরই এমভি আব্দুল্লাহ’র ক্যাপ্টেন দেশে জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে তাদের মুক্তির বার্তা পাঠান। এ ছাড়া জানা যায় মুক্তিপণ দিয়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ।


মুক্ত হওয়ার পর এর অপহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে সোমালিয়া কর্তৃপক্ষ। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পাটল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 
জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিক ও জাহাজমুক্ত করতে শনিবার বিকালে তিনটি ব্যাগে করে ডলার পৌছে দেওয়া হয় দস্যুদের কাছে। মুক্তিপণের বিষয়ে জাহাজ মালিক পক্ষ, বিমা কোম্পানি ও সোমালিয়ান দস্যু কেউ সরাসরি কথা বলেনি।

তবে সোমালিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোয় দাবি করা হয়েছে, দস্যুরা ৫০ লাখ ডলার পেয়ে জাহাজ ছেড়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সোমালিয়া অনলাইনের এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় বলা হয়, ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে দস্যুরা। আরেকটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম পান্টল্যান্ড মিররের এক্স বার্তায় স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ নেওয়ার পর দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে।

পান্টল্যান্ড পোস্টের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ আদায়ের পর দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে। জলদস্যুরা তীরে পৌঁছার সময় সেখানে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, ভারত মহাসাগরের চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের কয়লাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ নাবিকদের জিম্মি করার ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। আলোচনায় আসে জাহাজের নিরাপত্তার বিষয়টিও। আমরা বলতে চাই, জাহাজ মুক্তির খবরটি অত্যন্ত স্বস্তির।

একই সঙ্গে এ ঘটনা আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, জাহাজের নিরাপত্তার বিষয়টিসহ এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তৎপর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই- গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে যে উৎকন্ঠা শুরু হয়েছিল- অবশেষে তার অবসান ঘটল এবং জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেল এমভি আব্দুল্লাহ আর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।

যা অত্যন্ত স্বস্তিকর। ফলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ধরনের পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিতে হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS