ভিডিও

এডিস মশা : মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন

অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম ছারোয়ার

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৮:২০ রাত
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১০:৩৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, নিপসম কর্তৃক আয়োজিত "ম্যানেজমেন্ট অফ এডিস মসকুইটো: হলিষ্টিক পাবলিক হেলথ এপ্রোচেস" শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন  অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম ছারোয়ার। গত রবিবার জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, নিপসম কর্তৃক আয়োজিত "ম্যানেজমেন্ট অফ এডিস মসকুইটো: হলিষ্টিক পাবলিক হেলথ এপ্রোচেস" শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নিপসম এর এন্টোমোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম ছারোয়ার।

মূল প্রবন্ধে তিনি সাম্প্রতিক ডেঙ্গু ভয়াবহতায় এর বাহক এডিস মশা দমনে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সবিস্তারে আলোকপাত করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব ধরনের পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। সাম্প্রতিক প্রণীত ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের এই সংকট মোকাবেলা সহজ হবে।

তিনি তার বক্তৃতায় আরও বলেন সকল সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে  তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। লার্ভিসাইড এবং অ্যাডাল্টিসাইডের যৌক্তিক প্রয়োগ গুরুত্বসহকারে নিশ্চিত করতে হবে। লার্ভিভোরাস ফিশ, ড্রাগনফ্লাই নিম্ফ, ব্যাঙ ইত্যাদির মতো মশার শত্রুদের সংরক্ষণ করতে হবে।

ভেক্টর, এজেন্ট এবং হোস্টের উপর গবেষণা পরিচালনা করার জন্য উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পরীক্ষাগার স্থাপন করতে হবে মেডিক্যাল এনটোমোলজি বিষয়ক কোর্স অন্তর্ভুক্ত করে চিকিৎসা শিক্ষাকে শক্তিশালী করা অতি জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন স্তরে মেডিকেল এন্টোমোলজিস্টদের  নির্দিষ্ট কাঠামোগত অর্গানোগ্রাম নিশ্চিত করে নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

এডিস মশা নিয়ে সামগ্রিক গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকতে হবে এবং ঘঝচ ২০২৪-২০৩০ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর বলেন, মশা জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে দায়ি জিনকে এলিমিনেট বা সাপ্রেস করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে।

এ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণাগার প্রয়োজন। আর নিপসম হতে পারে এই উচ্চতর প্রযুক্তি নির্ভর গবেষণাগারের সেন্টারে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম বলেন মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে মশার ঘনত্ব সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।

এতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ শামিউল ইসলাম বলেন সকল সুপারিশের ভিত্তিতে প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে নিপসমসহ সিডিসি এবং ডিজি হেলথ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সবাই একসাথে কাজ করবো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS