ভিডিও

দুর্নীতি সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়

মোহাম্মদ নজাবত আলী

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আপডেট: জুন ১২, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুর্নীতি যেকোনো রাষ্ট্রের উন্নয়নে বড় বাধা। দুর্নীতিরোধ করতে না পারলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুন্ন হয় তেমনি জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দুর্নীতি উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। দুর্নীতির কারণে বিগত বছরগুলোতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

জাতিগত দিক থেকে আমাদের সম্মানকে কলঙ্কিত করেছে। তাই দুর্নীতি সমাজ উন্নয়নে সম্ভাবনাকে শুধু বাধাগ্রস্তই করে না, দুর্নীতি সুশাসন প্রতিষ্ঠার বড় ধরনের অন্তরায়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হবে।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি (মহাপরিদর্শক) বেনজীর আহমেদের পরিবার। পুলিশের সাবেক এ মহাপরিদর্শক এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’। জাতীয় দৈনিক এ প্রতিবেদনে তাঁর অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরলে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর টনক নড়ে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা যখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তখন ধরে নেয়া যায় তারাই ক্ষমতার কাছাকাছি থাকে। আর ক্ষমতার কাছাকাছি না থাকলে কেউই বড় ধরনের দুর্নীতি করার সাহস পায়না। পুলিশের সাবেক এ মহাপরিদর্শক ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমাজমি, পাঁচতারকা হোটেল, ফ্ল্যাটসহ অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান।

দুদক অনুসন্ধান করে  এর সত্যতা পেয়ে বেনজীরের পরিবারের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তা আমলে নিয়ে তার সমুদয় সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের দুর্নীতি সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই শুধু বেনজীর আহমেদই নয় অনেক বেনজীর রয়েছেন। নিকট অতীতে দেখা যায় হলমার্ক, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, পি.কে. হালদার যিনি একটি ব্যাংকের সাবেক এমডি ছিলেন। ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশ থেকে পালিয়ে যান।

বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অথচ রাষ্ট্র তাদের কিছুই করতে পারলনা। যারা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, অপরাধি তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেটা হবে রাষ্ট্রের এক ধরনের ব্যর্থতা। এতে অন্যরাও দুর্নীতিকরার সাহস পাবে।

তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। দুর্নীতির বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু শহর বা উপ-শহরই নয় গ্রামগঞ্জেও বড় বড় দুর্নীতিবাজ রয়েছে। যাদের কিছুই ছিলনা তারা অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে এখন কোটিপতি।

তাদের আয়ের উৎসই বা কি এ বিষয়গুলো দুদককে খতিয়ে দেখা দরকার। গ্রামে-গঞ্জেও কিছু মানুষ যারা অবৈধভাবে সম্পদের  পাহাড় গড়েছে তা দুদক উপেক্ষা করতে পারেনা। তাই বর্তমান সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশের যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি বর্তমান সরকারের প্রায় ১৬বছরে দেশের উন্নতি অগ্রগতি হয়েছে এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

দেশ স্বাধীন হয়েছে সার্বিক দিক থেকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য, পেছনে ফেরার জন্য নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য দলীয় নেতাকর্মীরা দলীয় গন্ডির বাইরে এসে জনগণের স্বার্থের কথা, দেশের স্বার্থের ব্যাপারে স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেন না। এর মূল কারণ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বাইরে গেলেই দলীয় নেতাকর্মী, মন্ত্রী, এমপিদের মহাবিপদ, সদস্য পদ হারাবেন। সংবিধানের এ ৭০অনুচ্ছেদ অনেকটা দলীয় ব্যক্তি বা নেতার স্বাধীন মত প্রকাশের পরিপন্থী। কিন্তু কোনো সরকারই এ বিধান বা অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। সংবিধানের কত বিধান, কত অনুচ্ছেদ, কাটছাঁট করা হলো, সংবিধানকে ক্ষত বিক্ষত করা হলো কিন্তু ৭০ অনুচ্ছেদে হাত দেয়া হলো না।

রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থের কারণে এ অনুচ্ছেদ বজায় রেখেছেন। কথাগুলো একারণেই বললাম যে, ক্ষমতায় থেকে বা দলীয়ভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারে বাধা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে রাষ্ট্রে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। কোনো রাষ্ট্রে যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা করতে না হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে রাষ্ট্রে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষ যেমন শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করবে তেমনি সেক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

দুর্নীতি অবশ্যই আমাদের উন্নতির প্রধান প্রতিবন্ধক। দেশে অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণী বা ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা দুদককে অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। তবে প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে দুর্নীতির সাথে যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে দুর্নীতি দমন কঠিন হবে।

অতিতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সে সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি যা মোটেই সমীচীন নয়। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশে দুর্নীতিরোধ করতে না পারলে সমৃদ্ধ ও আত্ম নির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা যেমন সত্য তেমনি দুর্নীতি ও থেমে নেই। মাঝে মধ্যে টিআইবি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রশাসনে দুর্নীতির সূচক তুলে ধরেন তা যে সম্পন্ন অসত্য বা অযৌক্তিক এমন টি মনে করা ঠিক হবেনা। কিন্তু রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার টি আইবি’র রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করা হয়।

তবে দেশে সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন করতে হলে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে, দরিদ্রতা কমাতে হবে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ সহ বিপুল জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা থাকা দরকার। আমাদের দেশে শিক্ষা, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসা সহ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সেক্টরে যে দুর্নীতি রয়েছে তা সুশাসন দিয়ে রোধ করতে না পারলে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষের শিকড় শাখা প্রশাখা আরো বিস্তার লাভ করবে। দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন দেশ ও জনগণের উন্নয়নের যেমন সূচক নয় তেমনি দুর্নীতির দায়ে দু’চার জনের শাস্তি দেওয়ার মধ্যে কোনো আত্মতৃপ্তিও নেই। দুর্নীতিরোধ বা কমিয়ে আনতে দলীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে থেকে দলমত নির্বিশেষে সমভাবে আইনের প্রয়োগ ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই। তাহলে আমাদের সমাজ থেকে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। আমরা জানি যে, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রই শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত নয়। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা বেশি। তাই দুর্নীতিরোধ করতে বা কমাতে হবে। দুর্নীতিরোধ কল্পে আমাদের যে, লক্ষ্য রয়েছে সে লক্ষ্যে নির্লোভভাবে পৌঁছতে না পারলে দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হবেনা। তাই আইনের প্রয়োগ ও সুশাসন দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা।


আগেই উল্লেখ করা হয়েছে দুর্নীতি যে কোনো রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। এখানে উল্লেখ্য যে দুদক কোন দুর্নীতি বাজের বিচার করতে পারে না। তারা শুধু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা মারফত নানা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, আর তা বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও সুশাসনের অভাবে এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ আছেন যারা রাজনীতিকে এক ধরনের ব্যবসা মনে করেন। লুটপাট ক্ষমতার অপব্যাপারে তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হন।

রাজনীতিতে সততা আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু রাজনীতিক আছেন নামে বেনামে অঢেল সম্পদের অধিকারী। জনস্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে কাউকে ছাড় না দেয়ার ব্যাপারে দৃঢ়কণ্ঠে ব্যক্ত করেছেন। দুর্নীতি রোধের ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। শুধু মনোভাব ব্যক্ত করলেই চলবে না কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বা দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কারণ দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন একে অপরের পরিপূরক যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের নাম কিছুটা পরিবর্তনের মধ্যে বর্তমানে তা দুর্নীতি দমন কমিশন যা সংক্ষেপে দুদক নামে পরিচিত। আমরা মনে করি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু তা অনেকটা ক্ষমতাসীনদের ওপর নির্ভর করে। দুদক যদি পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায় সরকার বা রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে দুর্নীতিবাজ যারা আছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার বা অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। এতে করে দুর্নীতি অনেকটা দমনও সম্ভব।

বর্তমান সরকার মন্ত্রী বা প্রভাশালি রাজনৈতিক নেতা দুদকের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করছে বলে মনে হয়না। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত নয় একথা সত্য। কিন্তু আমাদের দেশে এর ব্যাপকতা বেশি। ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির কারণে দেশে আইনের শাসন সুশাসন প্রতিষ্ঠা যেমন সম্ভব হচ্ছে না তেমনি জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দুর্নীতি শুধু রাষ্ট্রের উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটায় না ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায়। এ বৃত্ত থেকে না বের হলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হয়, তেমনি সরকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থা দিন দিন কমে যায়।

এমতাবস্থায় দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়নে এ চক্র থেকে বেরিয়ে আসা ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। কাজেই একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

লেখক : সাবেক শিক্ষক ও কলামিস্ট

01719-536231



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS