ভিডিও

দেশীয় ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর

এড. নূরুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশিত: জুলাই ০৭, ২০২৪, ০৬:২৪ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৭, ২০২৪, ০৬:২৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশের বাঙালিদের সবচেয়ে মজার খাবার দেশীয় খাবার বাংলা খাবার। আমাদের দেশের বাঙালিরা দেশীয় ফল প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকে এবং এই দেশীয় ফলগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ ও তেমনি স্বাদ। এখন দেখা যাক বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু রয়েছে।

এই ছয় ঋতুতে যে সব ধরনের ফল পাওয়া যায় তা ছয় ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতু। এই দুইটি ঋতুই হচ্ছে আমাদের দেশীয় ফলে ভরপুর থাকে ।আর এই সময়টিতেই বেছে নিতে হবে দেশীয় ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

তবে দেশীয় ফল এই চার মাসে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেলেও কিছু কিছু ফল আছে খুবই অল্প সময়ের জন্য  মাত্র ১৫ দিনের জন্য হাতের নাগালে পাওয়া যায়। তারপরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের বাংলাদেশে বৈশাখ হতে জ্যৈষ্ঠ মাস। এই সময় আমাদের দেশি ফলটা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই ফলের মধ্যে প্রথমেই ধরা যাক আম।

বাংলাদেশের প্রায় ২ শতাধিক প্রকারের আম রয়েছে। এই আমগুলোর মধ্যে সবার আগে যে আমটি পাওয়া যায় সেটা হল আমাদের দেশীয় আম বা আঁটির আম নামে পরিচিত ও সাতক্ষীরার ক্ষীরসা পাতি গোপাল ভোগ বারী। আঁটির আম মানুষের বাড়ির আঙিনায় বাড়ির পাশে বড় বড় গাছে ফল ধরে থাকে। অন্যদিকে কলমের আম ছোট ছোট গাছেই বেশি হয়ে থাকে।

এ আমের মধ্যে জাত ভেদে আমরা সাধারণত বলে থাকি ন্যাংড়া, খিরসা, মোহনভোগ, হাঁড়িভাঙ্গা, খিরসা পাতি ইত্যাদি এই আম গুলো সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৫ থেকে ৩০ শে আষাঢ় এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সাধারণত এই সময় মূল্য কম থাকে এবং এই সময় বেশি বেশি আমটি খাওয়া উচিত। তবে ফজলী আশ্বিনা চুসা এই আম শ্রাবণ মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।

লিচু : আমাদের বাঙালিদের অতি লোভনীয় একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর। কয়েক ধরনের লিচু পাওয়া যায় তার মধ্যে বোম্বাই, চায়না থ্রি, মোজাফফরি কাঁঠালি ইত্যাদি। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে কিছু দেশি লিচু পাওয়া যায় যে লিচু গুলি আমাদের গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় রাস্তায়  বড় ধরনের গাছ হয়ে থাকে।

ওই গাছে যে লিচুটা হয়ে থাকে ওটাকে দেশি লিচু বলা হয় এবং টকটক স্বাদের হয়ে থাকে। ১৫ জ্যৈষ্ঠ থেকে ত্রিশে জ্যৈষ্ঠর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কলমের লিচু প্রচুর পরিমাণে আমদানি হয়ে থাকে এবং এই সময় সব ধরনের সব শ্রেণীর মানুষদেরকেই বেশি বেশি পরিমাণে লিচু ফলটি গ্রহণ করা উচিত।

জাম ফল : জাম ফলটি বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও থাকে বহু পুষ্টিগুণ কিন্তু এই ফলটি খুবই অল্প সময়ের জন্যই আমদানি হয়ে থাকে। জাম ফলগুলি বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।

কাঁঠাল : এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই ফলটি সাধারণত বর্ষাকালের ফল অর্থাৎ আষাঢ় থেকে শ্রাবণ মাস পুরোটাই এই কাঁঠাল ফল পাওয়া যায়। তবে আষাঢ় মাসের শেষ দিকে এই ফলটির প্রচুর পরিমাণে আমদানি হয়ে থাকে। এই সময় মূল্যও কম থাকে। রসালো ফলটি এই সময়ের মধ্যে বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের এই ফলটি খাওয়া উচিত নয়।

লটকন ফল : এই ফলটি সাধারণত টক জাতীয় হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফলটি অত্যন্ত উপযোগী। এই ফলটি আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে পুরো মাসেই বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টি এবং ভিটামিন যুক্ত।

জামরুল ফল : যে ফল পানিফল নামেও পরিচিত। সাদা লাল সবুজ কালারের এ ফলটি হয়ে থাকে। এই ফলটি পানি জাতীয় ফল। পিপাসা মেটানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী। অন্যান্য ভিটামিনে ভরপুর। ফলটি জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই ফলটি পাওয়া যায়। এই ফলটির মূল্য অনেক কম খেতে মিষ্টি না হলেও বেশ সুস্বাদু।

বাঙ্গি ফল : এ ফলটি কৃষকরা সাধারণ জমিতে চাষ করে। এই ফলটি দুই রকমের হয়ে থাকে। একটি হল আঠালো জাতীয় আর একটি বেলে জাতীয়। খেতে বেশ সুস্বাদু। তেমন মিষ্টি না হলেও একটু ভিন্ন স্বাদের এই বাঙ্গি ফলে রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিগুণ। এই ফলটি সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকে ৩০ শে জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত পাওয়া যায়।

তরমুজ : এটা সম্পূর্ণ রসালো ফল। বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে তরমুজে। সারা বছর পাওয়া গেলেও বেশি পাওয়া যায় জ্যৈষ্ঠ মাসে। এই ফলটির দাম এই সময় অনেক কম থাকে। অত্যন্ত গরমে তরমুজ ফলটি খাওয়া প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের উচিত।

গাব ফল : এই ফলটি বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ এবং আষাঢ় মাসে কিছু কিছু পাওয়া গেলেও এই ফলটি বেশি পাওয়া যায় শীতকালে। এ ফলটি মিষ্টি হলেও আঁটিটা বেশ বড়। এ ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন।

আনারস : এই ফলটি একটি রসালো ফল। প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ফলটি উৎপত্তি স্থল মধুপুর এবং চিটাগাং এর পাহাড়ি এলাকায়। এই ফলটি টক মিষ্টি দুই রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে পুরা আষাঢ় মাসেই পাওয়া যায়। তবে সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়।

খেজুর : আমাদের দেশে আনাচে-কানাচে প্রচুর পরিমাণে খেজুর গাছ দেখা হয়। আর এই খেজুর গাছের কিছু কিছু খেজুর গাছে পাওয়া যায় রস। কিছু খেজুর গাছে হয় খেজুর। তবে সাইজে বড় পরিমাণে না হলেও ছোট সাইজের হলেও এই খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খেতে খুব সুস্বাদু। সাধারণত পনের জ্যৈষ্ঠ থেকে ১৫ই আষাঢ়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এই সময় এই ফলটি খেয়ে সকলেরই স্মৃতি ধরে রাখা যায়।

ডেউয়া ফল : চমৎকার স্বাদের এই ফলটি বিশেষ করে মহিলাদের খুব প্রিয় ফল। এই ফলটি বেশি মিষ্টি না হলেও টকটক হলেও দারুন স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ। এই ফলটি সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়।

ফলটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনসমৃদ্ধ। খেতে মিষ্টি ফল না হলেও একটু কষ্টা স্বাদযুক্ত। এই ফলটি বহু রোগ নিরাময় করে থাকে । সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে  ফলটি পাওয়া যায় বেশি। এই ফলটি প্রত্যেকটা মানুষেরই খাওয়া উচিত।

ডাফল ফল : হলুদ কালারের এই ফলটির ভিতরে রয়েছে ঠিক কমলা কোয়ার মত কিছু কোয়া। খেতে টক কিন্তু প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ফলটা তেমন একটা দেখা যায় না। তবে হাতের নাগালে পাইলে এই ফলটি খাওয়া উচিত।

তেঁতুল ফল : হ্যাঁ যে ফলটির নাম শুনলেই জিহ্বায় জল এসে যায়।  অত্যন্ত টক এই ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন আছে। আছে ভিটামিন সি। এই তেঁতুল ফল সাধারণত চৈত্র মাসে পাওয়া যায়।

কামরাঙ্গা ফল : এই ফলটি টক এবং মিষ্টি দুই ধরনেরই পাওয়া যায়। তবে এই ফলটি কিডনি রোগীদের খাওয়া কোনক্রমে উচিত নয়। স্বাভাবিক মানুষরা এই ফলটি খেতে পারেন। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ।

বেত ফল : এই ফলটি বেত গাছের আগায় ধরে থাকে। ছোট ছোট সুন্দর দেখতে ফলগুলো গোলাকার হয়ে থাকে। এই ফলটি সাধারণত টক জাতীয় ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। গ্রামে এই ফলটি দেখা যায় তবে বেত গাছ ধ্বংসের পাশাপাশি এই ফলটিও এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না।

তাল : আমাদের দেশে সবচেয়ে গাছের মধ্যে উঁচু গাছের নামই হল তাল গাছ। এই তালগাছ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটির নাম হল জোটে তাল গাছ আরেকটার নাম হল তাল গাছি। যে গাছে তাল হয় এই তাল গাছ থেকে রস পাওয়া যায় এবং ফলও পাওয়া যায়। তাল গাছ থেকে যে ফল পাওয়া যায় সে ফলের মধ্যে তাল শাঁস এবং পাকা তাল।

সাধারণত ১৫ জ্যৈষ্ঠ থেকে ১৫ আষাঢ়ের মধ্যেই বেশি পরিমাণে তাল শাঁস আমদানি হয়। এই সময়ে শাঁস নরম থাকে খেতে বেশ সুস্বাদু এবং পানির পিপাসা মিটানোর জন্য এই শাঁস অত্যন্ত উপযোগী এবং রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিগুণ। আর পাকা তাল সাধারণত শ্রাবণ মাস থেকে ভাদ্র মাসে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।

ডাব এবং নারিকেল : হ্যাঁ নারকেল ঝুনা হওয়ার আগে কচি থাকা অবস্থায় একে ডাব বলা হয়। ডাবের পানি আমাদের তৃষ্ণা মিটায় ও অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে দারুন উপযোগী। ডাব সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়। তবে আষাঢ় শ্রাবণ মাসে ডাব এবং নারিকেল অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। নারকেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠে পায়েস নাড়ু হয় ও নারকেল দিয়ে তেল  উৎপাদিত হয়। এই ফল আমাদের জন্য উপযোগী।

বেল : যে ফলটি পেটের অসুখ দারুনভাবে নিরাময় করে। এই ফলটি সাধারণত চৈত্র মাস থেকে বৈশাখ মাসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আমদানি হয়। এই ফলটি খুব মিষ্টি না হলেও স্বল্প স্বাদের এ ফলটি শরবত করে খেলে অত্যন্ত উপকার হয়ে থাকে।

কদবেল : যে ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এই ফলটি আমাদের দেশে কার্তিক মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই সময় এই ফলটি বেশি বেশি খাওয়া প্রত্যেকের উচিত। এই ফল খেলে মুখে রুচি অত্যন্ত বাড়ে।

পেয়ারা : ফলটি আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যায়। যে ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ। এই ফলটা আষাঢ় মাসে অধিক পরিমাণে আমদানি হয়। এ ছাড়া এই ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায় এবং প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষেরই খাওয়া উচিত।

বাতাবি লেবু : এই ফলটি বল সাইজের হয়ে থাকে। এর ভেতরের দানাগুলো সাদা এবং গোলাপি হয়ে থাকে। ফলটি সাধারণত টক জাতীয় ফল। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

সবেদা : এ ফলটি অত্যন্ত কড়া মিষ্টির। এই ফলটি উত্তর বঙ্গে তেমন একটা দেখা না গেলেও দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় প্রতি বাড়িতে এই ফলের গাছ দেখা যায়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই ফলটি শীত মৌসুমে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু সবেদা সারা বছরই পাওয়া যায়।

পেঁপে : পেঁপে বারোমাসি ফল। এই ফলটি বারো মাস পাওয়া যায়। অত্যন্ত পছন্দের ও পুষ্টিগুণে ভরা পেঁপে ফলটি সব শ্রেণীর মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। কলা: যে ফলটি সারা বছর ই আমরা হাতের কাছেই পাই। যে ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

করমজা : ছোট ছোট গাছে গোটা গোটা ফল। সারা গাছ ভরে থোকায় থোকায় ধরে থাকে। এই ফলটি টক হয়ে থাকে। টক হলেও এই ফলটি খেতে খুব স্বাদ। ছোট ছোট ছেলে পেলেদের খুব পছন্দের ফল। এই ফলে রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিগুণ।

বরই ফল : মিষ্টি টক দুই ধরনের হয়ে থাকে। কলমের বরই গুলি সাধারণত মিষ্টি হয় এবং দেশীয় গাছের বরইগুলো সাধারণত টক হয়ে থাকে।

পীচ ফল বা কাট ফল : অনেকে বলে থাকে কাঠ ফল। ছোট ছোট গোটা গোটা ঝোপার এই ফলটি পাকলে কালার না হলেও ভিতরে বেশ মিষ্টি। এই ফলটি সাধারণত: আষাঢ় মাসে অল্প সময়ের জন্য পাওয়া যায়। এই ফলটির রয়েছে বেশ পুষ্টিগুণ।

আতা ফল : এটা পাকলে বেশ মিষ্টি হয়ে থাকে। ফলটি সাধারণত ভাদ্র মাসে পেকে থাকে। সারা ভাদ্র মাসে ফলটি কম বেশি পাওয়া যায়। তবে আতাফল মাঝে মাঝে জ্যৈষ্ঠ মাসেও পাওয়া যায়।

 

লেখক : কবি ও  সভাপতি  পল্লীকবি জসিম উদ্দিন পরিষদ বগুড়া।

01711-123747



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS