ভিডিও

সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আপডেট: মে ১৭, ২০২৪, ০৯:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

 
 

জানা যায়, বুধবার (১৫ মে) রাতে তিনি ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হন। পরে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ মে রাত আনুমানিক ২টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও তার ৮-১০ জন অনুসারী আমাকে রুম থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে নিজেকে সনাতনী দাবি করলে আরও বেশি মারধর করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে হল ত্যাগ করি। এ অবস্থায় নিজের নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবুজ বিশ্বাস বলেন, তারা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এতে পায়ের বিভিন্ন অংশে ফেটে গেছে। সেই সঙ্গে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ঘটনা শোনার পর বাড়ি থেকেও বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। পরিবারের লোকজন ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলছে। আর বর্তমানে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাটাও আমার জন্য নিরাপদ নয়। তাই আমি বাড়িতে চলে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যতদিন পর্যন্ত আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসে আসব না।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, আমি গত কয়েকদিন সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হলেই যেতে পারি না। সেখানে একটা সনাতন ধর্মের ছেলেকে শিবির আখ্যা দিয়ে মারার তো প্রশ্নই আসে না। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনা আমাদের যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তারা দেখবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এইটা না আসলে তখন আমরা আলাদা করে দেখব। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS