ভিডিও

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
আপডেট: মে ২৩, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের আয়োজনে শুরু হয়েছে অ্যাডভান্সড কৃষি গবেষণা শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীন, কেনিয়া, বাংলাদেশসহ ৪৫টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষক, গবেষক এবং বিজ্ঞানী অংশ নিয়েছেন। সকাল ১০টায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ অনলাইনে যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তবে প্রথমদিনই সম্মেলনে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন অংশগ্রহণকারীরা।

অংশগ্রহণকারী কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, জমা দেওয়া সব গবেষণা সারাংশ যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত গবেষণাগুলো সম্মেলনে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত গবেষকদের মতামত না নিয়ে নিজেদের পছন্দের গবেষকের গবেষণাপত্র উপস্থাপনার জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে আয়োজক কমিটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল ইসলামের আটটি গবেষণা ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তিলক চন্দ্র নাথের আটটি গবেষণা স্থান পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গবেষণা বাদ পড়েছে। অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ছফি উল্লাহ ভূঞার নেতৃত্বে এসব হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি গবেষণায় একাধিক গবেষক জড়িত থাকলেও প্রতিটি গবেষণার বিপরীতে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র একজনকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্মেলন আয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অধ্যাপক ড. মো. ছফি উল্লাহ ভূঞার নেতৃত্বে বিশেষ কয়েকজন শিক্ষকের গবেষণা রেখে অন্যদের গবেষণাপত্র বাদ দেওয়া হয়েছে। উনার এমন কাজে যেসব প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তারাও কষ্ট পেয়েছেন। আমাদের যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার জন্য যথেষ্ট অর্থও আমাদের দেওয়া হয়নি।’

সম্মেলনে অংশ নেওয়া এক গবেষক বলেন, ‘আমার গবেষণা উপস্থাপনের জন্য নিবন্ধন করলেও উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারা আমার গবেষণাপত্র বাদ দিয়েছেন। এ নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন।’

এছাড়া নিবন্ধনের জন্য অপর্যাপ্ত বুথ, টেকনিক্যাল সেশনগুলোতে সাউন্ড সিস্টেমের যান্ত্রিক ত্রুটি ও সময়সূচির অনিয়ম হওয়ায় বিরক্ত হয়েছেন দেশ-বিদেশের গবেষকরা। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ছফি উল্লাহ ভূঞা বলেন, ‘আমাদের কাছে এসব নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS