ভিডিও

শুভ জন্মদিন গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০১:১৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিনোদন ডেস্ক ( অভি মঈনুদ্দীন )ঃ ‘ এবারের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনোই পরিকল্পনা নেই। বাসা থেকে কোথাও যাচ্ছিনা। বাসাতেই সময় কাটবে আমার। এখন দেশের যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আসলে জন্মদিন উদযাপনেরও তেমন কোনোই আগ্রহ নেই। এখন সময়টা অন্যরকম। এখন দেশ গড়ার সময়, নতুন করে দেশটা ঠিকঠাকভাবে গড়ে তোলার সময়। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তখন না হয় নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু একটা করা যেতে পারে। আপাতত সবার দোয়া চাই-আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন-ভালো রাখেন। আর সবাই যেন ভালো থাকেন নিজ নিজ পরিবারের সাথে আমিও এই দোয়া করি।’ জন্মদিন প্রসঙ্গে ঠিক এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের ‘গানের পাখি’ জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।

সাবিনা ইয়াসমিন এমনই একজন সঙ্গীতশিল্পী শুধু দেশের গানেই তার যে বিরাট অবদান, তা দিয়েই তিনি এই বাংলার বুকে বেঁচে থাকবেন শতশত বছর। বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে তার গাওয়া দেশের গান আমাদের পুলকিত করে, অনুপ্রাণিত করে, আন্দোলিত করে। আর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে তার গাওয়া দেশের গানই যেন আগামীদিনে নতুন করে পথ চলার সাহস যুগায়। দেশের গান ছাড়াও চলচ্চিত্রে হাজার হাজার গান গেয়েছেন তিনি। আর এমনি করেই গানে গানে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে উঠেছেন এদেশের তথা বাংলা ভাষাভাষীর অতি প্রিয় একজন শিল্পীতে-একজন জীবন্ত কিংবদন্তীতে। জন্মদিন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন আরো বলেন, ‘ জন্মদিন এলেই আব্বা আম্মা এবং আমার বোনদের খুউব মিস করি। কিন্তু তারপর সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি সে কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। ঈদ আসলে যেমন নতুন জামা কাপড় লুকিয়ে রাখতাম। জন্মদিন এলেও তাই করতাম। জন্মদিনে এসব কাপড় বের করতাম। আনন্দটাই ছিলো অন্যরকম। পরিবারের মধ্যকার সেই আনন্দটা মিস করি।’ প্রয়াত বরেণ্য সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষের সঙ্গীত পরিচালনায় এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম গান করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তবে ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমাতে আলতাফ মাহমুদের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘মধু জোছনা দীপালি’ গানটি গাওয়ার মধ্যদিয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেন। বরেণ্য এই সঙ্গীত শিল্পী ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার’সহ সর্বোচ্চ ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে প্রমোদকার (খান আতাউর রহমানের ছদ্ম নাম) পরিচালিত ‘সুজন সখী’ সিনেমাতে গান গাওয়ার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘চন্দ্রনাথ’, মইনুল হোসেনের ‘প্রেমিক’, বুলবুল আহমেদ’র ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’ , আমজাদ হোসেনের ‘দুই জীবন’, কাজী হায়াৎ’র ‘দাঙ্গা’, মতিন রহমানের ‘রাধা কৃষ্ণ’, মোহাম্মদ হোসেন’র  ‘আজ গায়ে হলুদ’ ও চাষী নজরুল ইসলামের ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭১ সালে নঈম গহরের লেখা ও আজাদ রহমানের সুরে সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’ গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম প্রেরণা জুগিয়েছিলো। জীবনে প্রথম তিনি কবরী পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’র সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS