ভিডিও

ভাইরাল সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন মাহি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৪:৪২ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৪:৪২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিনোদন ডেস্ক : তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মেকআপ ছাড়া সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে কটাক্ষের শিকার হন। বিশেষ করে তার গায়ের রং নিয়েও বিদ্রূপ করছেন নেটিজেনদের একাংশ। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তিকর মন্তব্যও করতে দেখা যাচ্ছে কাউকে। মাহি বললেন, ভিডিও নিয়ে মানুষের এমন মন্তব্যে তিনি কষ্ট পেয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন অভিনেত্রী মাহি। যা মূলত নিছক মজা করেই ধারণ করে কেউ পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। তারপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হতে থাকেন তিনি। এ আচরণে অবশ্য কষ্ট পেয়েছেন মাহি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা মানসিকভাবে কতটা নাড়িয়ে দিয়েছিল জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই ভিডিও নিয়ে মানুষের মধ্যে যে এত আলোচনা, এতে মনে হয়েছে, সবাই ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে। অনেক মানুষের কথা হচ্ছে, তুমি দেখতে কালো, এ জন্য ভিডিওতে মুখ ঢেকেছ। আরে ভাই, আমি কি কখনো কোথাও বলেছি, দেখতে আমি ফর্সা! আরে কার চামড়ার রং কী, এটা নিয়েও আমরা কথা বলব? 

অদ্ভুত একটা সমাজে বসবাস করছি আমরা। আমার  কাছে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতেই বিরক্ত লাগে। হতে পারে আমার চোখে ইনফেকশন, আমার মুখে কিছু একটা ছিল—আমি যেকোনো কারণেই মুখটা ঢাকতেই পারি। বিষয়টা হচ্ছে যিনি ভিডিওটা করেছেন, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই, তাকে নিয়ে কথা না বলে আমার কেন মুখ ঢাকা এবং আমি কেন দেখতে কালো, এসব নিয়ে কথা হচ্ছে। অদ্ভুত।’ ঘটনাটা কবেকার জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘খুব বেশি দিন হয়নি। যেদিন ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, তার ঠিক দুই দিন আগে এই ভিডিওটা করা হয়। বিষয়টা হয়েছে কি, যিনি ভিডিও করেছেন তিনি আমারই  একজন সহশিল্পী। শুটিং সেটে এই ভিডিওটা তিনি করেছেন। তিনি আমার ভিডিও করছিলেন না, এমনি ফোনের ক্যামেরা অন করে রেখেছিলেন। হঠাৎ করে আমি রুমে ঢুকে পড়ায় ভিডিওতে চলে আসছি; তাই মুখটা ঢেকে ফেলেছি। তিনি একটু দুষ্টামি করছিলেন। আমিও তাকে বলছিলাম, আপু আমাকে ভিডিও কইরো না। তারপরও তিনি করেছেন। আমার মনে হয়েছে, বিষয়টা তিনি সিরিয়াসলি নেননি। আমি জানি না। তারপর ফেসবুকে আপলোড দিয়ে দিয়েছেন। দুই দিন পর দেখলাম, ভিডিওটা ভাইরাল। শুটিং ইউনিটের অনেকে বলছে, আপা আপনার ভিডিও তো ভাইরাল। পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখি, ভয়াবহ অবস্থা। তারপর আমি ওই আপুকে টেক্সট করেছি। কল করেছি। তিনি সরি বলেছেন। কিন্তু সরি বলার আগে তো যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমার যা ক্ষতি হওয়ার তো হয়েছে।’

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS