ভিডিও

বিরতির পর সিনেমা নিয়ে ফিরছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট: মে ১৬, ২০২৪, ০১:৪৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন : বাংলাদেশের নাটকের, সিনেমার অত্যন্ত গুনী অভিনেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখন নাটক সিনেমার চেয়ে ওটিটি প্লাটফরমেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। দীর্ঘদিন পর সিনেমা হলে তার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে (২৪ মে)। সিনেমার নাম ‘ফাতিমা’। এটি নির্মাণ করেছেন ধ্রুব হাসান।

সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ সিনেমাটিতে আমি ফাতিমা অর্থাৎ তাসনিয়া ফারিণের মামার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তার কাছে আমি একজন ভালো মানুষই বটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমি একজন মন্দ মানুষ। তো যথারীতি আমি আমার চরিত্রটি শতভাগ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। একজন অভিনেতা হিসেবে সেই চেষ্টাটাই থাকে আমার সবসময়। বাকীটা আসলে দর্শকের উপর নির্ভর করে কেমন করেছি। তবে ফাতিমার গল্প, এতে শিল্পীদের অভিনয়, সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি দর্শকের ভালো লাগবে। সত্যি বলতে কী এখন আর আগের মতো নাটকে অভিনয় করার আগ্রহটা পাইনা। ওটিটি প্লাটফরমের কন্টেন্টগুরোতে কাজ করতে চাই।  ফরিদপুরের ঝিলটুলির ননী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সান্ত্বনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ফরিদপুরের ‘সুনিয়ম নাট্যচক্র’র সাথে সম্পৃক্ত থেকে অভিনয় জীবনে পথ চলা শুরু। এই দলের হয়ে প্রথম তিনি বিপ্লব বালা’র নির্দেশনায় ‘সাজানো বাগান’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। প্রায় চার/পাঁচ বছর এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে প্রথম খ ম হারুনের প্রযোজনায় ‘সানাই নয়’ নাটকে অভিনয় করেন যাতে তার বিপরীতে ছিলেন তারানা হালিম। নাটকে তাকে দেখে অনেকে ভেবেছিলেন তিনি কুমার বিশ্বজিৎ।

পরবর্তীতে আল মনসুরের প্রযোজনায় ‘লাইলী মজনু’ নাটকে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এতে মজনু চরিত্রে মানস এবং লাইলী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত দিতি। এই নাটকের জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরিচালক ইবনে মিজান মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘পুণর্মিলন’ সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন। নাটকে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় আরো সাড়া ফেলেছিলেন জিয়া আনসারীর প্রযোজনায় ‘প্রতিশ্রুতি’, বরকত উল্যাহ’র প্রযোজনায় ‘ঢাকায় থাকি’, শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা’র প্রযোজনায় ‘টং ঘর’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করে। নারায়ণ ঘোষ মিতা’র ‘সাহেব’, খান আতাউর রহমানের ‘হিসাব নিকাশ’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘ভাইয়ের আদর’, মতিন রহমানের ‘মন মানেনা’ সিনেমা’সহ আরো বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয় করেও প্রশংসিত হন তিনি। অভিনয় জীবনের শুরুতে ‘আনোয়ার শার্টিং স্যুটিং’ ও ‘রবিন ব্লু’র বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেও বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। পেশাগতভাবে ১৯৭৮/৭৯ সালে ‘সানাই ঘর’এ অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মোহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক নাম সন্টু’। ফরিদপুরের বন্ধুরা তাকে সন্টু বলেই এখনো ডাকে। প্রতীক ও রোদেলা’র বাবা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় দু’জন বন্ধু হচ্ছেন নায়ক সুব্রত ও নায়িকা অরুনা বিশ্বাস। তার প্রিয় নায়ক রাজ্জাক ও নায়িকা কবরী। প্রিয় টিভি অভিনেতা সৈয়দ আহসান আলী সিডনী ও অভিনেত্রী নাজমা আনোয়ার। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS