অভি মঈনুদ্দীন : দীর্ঘ এক দশক ধরে অভিনয় করছেন সাফা কবির। একজন নাট্যাভিনেত্রী হিসেবে তিনি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন নিজেকে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে ছোটবেলা থেকেই বেশ আদরে আদরে এবং চোখে চোখেই বড় হয়েছেন তিনি। মা জেসমিন কবিরের স্বপ্ন ছিলো সাফা কবির বড় হয়ে একদিন ডাক্তার হবেন। কিন্তু মায়ের সেই স্বপ্ন না পূরণ হলেও মেয়ে দেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়েছেন, তাতেই যেন মা ভীষণ খুশী। তার চেয়েও মা বেশী খুশী হয়েছেন গত মা দিবস উপলক্ষ্যে মায়ের হাতে উঠে এসেছে সাফা কবিরের অভিনয়ে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘স্বপ্ন জয়ী মা সম্মাননা ২০২৪’।

আরটিভি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনির হাত থেকে সাফা কবিরের মায়ের হাতে এই সম্মাননা উঠে আসে। মায়ের এমন স্বীকৃতিতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত সাফা কবির। সাফা কবির বলেন,‘ আমি জানিনা আমার কাজ দিয়ে আমি আমার বাবা মাকে কতোটুকু খুশী করতে পেরেছি। তবে আমার কাছে মনে হয় এই সম্মাননার প্রাপ্তির মাধ্যমে খুশী করার বা গর্ব করার বিষয়টা একধাপ হয়তো আগাতে পেরেছি। আমার মা কিছুটা হলেওতো খুশী হয়েছেন এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে। আমি উচ্চ মাধ্যমিকের পর যখন সিদ্ধান্ত নেই যে অভিনয় করবো তখন আশেপাশের অনেক মানুষ মাকে নানান ধরনের কথা শুনিয়েছিলেন। এটাও বলেছিলেন যে এখানে অভিনয় দিয়ে কিছুই হয়না। তো তাদের জন্য আমার মায়ের স্বপ্ন জয়ী মা সম্মাননা প্রাপ্তি একটা বড় জবাব। এতেই খুশী আমি। সত্যি বলতে কী যে যাই করতে ইচ্ছে প্রকাশ করুক না কেন তাকে তা মন দিয়ে করতে দেয়া উচিত। যদি কেউ কষ্ট করেন আমার মনের হয় কোনো না কোনোদিন কেষ্ট মিলবেই। আমি তা আমাকে দিয়ে ভীষণভাবে অনুভব করি। মহান আল্লাহর ও কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। দর্শকের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ আমার কাজগুলো উপভোগ করে তাদের অভিমত প্রকাশের জন্য।’

সাম্প্রতিক সময়ে সাফা কবির অভিনীত আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘লাভবাজ’,‘ আফসোস’, ‘১০০ বিঘা ফুল বাগান’,‘ জাদুর শহর’,‘ গল্পটা সামান্যই’,‘ ফিল মাই লাভ’ ইত্যাদি। সাফার মায়ের জন্মদিন ১৩ জুলাই, বাবার ১২ জুন।