ভিডিও

আমি মামুনের ১৩৮ নম্বর প্রেমিকা: লায়লা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০৪:১৫ দুপুর
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৪, ০৪:১৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন প্রিন্স মামুন ও লায়লা। অসম প্রেম নিয়েও দেশজুড়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন তারা। ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিন উভয়ই নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।

অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

মামুনকে স্বেচ্ছায় নিজের ঘরে থাকতে দিয়েছিলেন লায়লা। তবু কেন ধর্ষণ মামলা? এ বিষয়ে লায়লা বলেন, ‘আমিতো শুরু থেকে বলছি আমরা একটি ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। মামুনের পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছিল। সবাই আমাকে ওর বউ হিসেবেই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কথা উঠলেই দিনের পর দিন নানা অজুহাতে থামিয়ে দেয়া হয়েছে।’

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি প্রিন্স মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় গিয়ে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ে না হলেও ওইদিন থেকে মামুন ও লায়লা থাকতেন একই ঘরে। জানা যায়, লায়লাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক গড়েন মামুন। লায়লা বিয়ের বিষয়ে বললে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাসা থেকে চলে যান।

লায়লার ভাষ্য, ‘মামুন সব কিছু আমার কাছে শেয়ার করেছে। জীবনসঙ্গী করার ইচ্ছাতেই হয়তো! ওর ভালো মন্দ সব কিছুই আমি জানি। মামুন নিজে আমাকে বলেছে এর আগে ও ১৩৭ জনের সঙ্গে প্রেম করেছে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাদেরকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। অনেক মেয়েরা আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে। আমি মামুনকে শর্ত দিয়েছিলাম; আমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেকবার মামুনের বাড়ি গিয়েছি। ওর মা কিংবা আত্মীয়স্বজন এসে আমার বাড়িতে থেকেছে কিন্তু উনাদেরতো সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে উচিত ছিল আমাদের বিয়ে দিয়ে দেয়ার। কিন্তু তারা তা করেননি। বরং আমাকে ওপরে ওঠার সিড়ির মতো ব্যবহার করেছে। এখন আমার মনে হচ্ছে ওদের মনে অন্য কিছু ছিল। ওরা আর্থিক এবং সামাজিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আমাকে পুরোটাই ব্যবহার করেছে।’

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS