ভিডিও

বুদ্ধদেব অনুপ্রেরণায় মৃত্যুর পর দেহ দানের সিদ্ধান্ত ঋতুপর্ণার

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মত মৃত্যুর পর দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

আনন্দবাজারকে এই নায়িকা বলেছেন, “আমিও  মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হয়ত কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরপ্রাক্তনকাল।”

বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে মারা যান অনাড়ম্বর দিন যাপন করা নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাম রাজনীতিকের মরদেহ তার ইচ্ছা অনুযায়ী দান করা হয় শিয়ালদহের কাছে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

প্রথমে তার দুটি চোখ দান করা হয় শুক্রবার সকালে। ওই চোখের কর্নিয়া পেয়ে দুজন চোখে আলো দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

পশ্চিমবঙ্গের বাম জামানার এই শেষ সেনাপতিকে শ্রেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেদিন কলকাতার রাস্তায় নেমেছিল জনতার ঢল। সেই জনজোয়ারে ছিলেন ঋতুপর্ণাও।

তিনি বলেন, “আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে উনার দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী গাড়ি কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে গাড়ির কাছে পৌঁছলাম, জানালাম শেষ শ্রদ্ধা।”

ঋতুপর্ণার স্মৃতিতে বৃদ্ধদেব কেমন– এ প্রশ্নে তিনি আনন্দবাজারকে বলেছেন, বুদ্ধদেব ভাট্টাচার্য ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত এবং আর প্রচণ্ড রসিক স্বভাবের মানুষ ছিলেন।

“কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। তার আমলে বেশ কয়েক বার তার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।”

ঋতুপর্ণার বিয়েতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দুজনেই এসেছিলেন বলে জানান এই অভিনেত্রী।

তার ‘পারমিতার একদিন’, ‘আলো’ সিনেমা দুটি প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের পছন্দের কাজ ছিল বলেও জানান ঋতুপর্ণ।

“এই সিনেমা দুটিতে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আমাকে আলাদা করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।”

সাদাসিধে জীবন যাপন করা এই মানুষটি নায়িকার কাছে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ ছাড়াও ছিলেন একজন “আপাদমস্তক ভালোমানুষ, যাকে সারাক্ষণ শিক্ষা, রুচি, ব্যক্তিত্বের অদৃশ্য বলয় ঘিরে থাকত। ”

ঋতুপর্ণার কথায়, মৃত্যুর পরও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সুন্দর চেতনার প্রকাশ ঘটেছে দেহদানের মাধ্যমে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS