ভিডিও

চীনের শেষ বড় মসজিদটির গম্বুজও ভেঙে ফেলা হলো

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
আপডেট: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরবীয় শৈলীর বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা চীনের শেষ বড় মসজিদটির গম্বুজগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে মসজিদটির মিনারগুলোর আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির মুসলিম উপাসনালয়গুলোকে চীনাকরণের কাজ সমাপ্ত করলো বেইজিং। শনিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশের শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটি চীনের অন্যতম বৃহত্তম ও পুরনো মসজিদ। গত বছর পর্যন্ত ২১ হাজার বর্গ মিটার কমপ্লেক্সটিতে টাইলযুক্ত সবুজ গম্বুজ ছিল। গম্বুজটিতে একটি অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ ছিল। এর পাশপাশি মসজিদটিতে আরও চারটি ছোট গম্বুজ এবং উঁচু মিনার ছিল। চলতি বছরের ছবি, স্যাটেলাইট ছবি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, গম্বুজটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর স্থলে হান চীনা-শৈলীর প্যাগোডা ছাদ দেওয়া হয়েছে। মসজিদের মিনারগুলোকে ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তর করা হয়েছে। শাদিয়ান থেকে ১০০ মাইলেরও কম দূরে অবস্থিত ইউনানের আরেকটি বিখ্যাত মসজিদ নাজিয়াইংয়েরও ইসলামিক বৈশিষ্ট্যগুলো সম্প্রতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০১৮ সালে চীনা সরকার ‘ইসলামের চৈনিকীকরণ’ বিষয়ে একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার অংশ ছিল ‘বিদেশি স্থাপত্য শৈলী’ প্রতিরোধ করা এবং ‘ইসলামিক স্থাপত্য...যা চীনা বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ’ প্রচার করা। একটি ফাঁস হওয়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নথিতে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ‘বেশি ধ্বংস এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলতে’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী রুসলান ইউসুপভ শাদিয়ানে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে দুই বছর কাটিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই দুটি ঐতিহাসিক মসজিদের চৈনিকীকরণ প্রচারের সাফল্যকে চিহ্নিত করে। এমনকি গ্রামগুলোতে আরব শৈলীর ছোট ছোট মসজিদ বাকি থাকলেও স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে তাদের চৈনিকীকরণ ঠেকানো কঠিন হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS