ভিডিও

ছোট নৌকায় চেপে যেভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ির শীর্ষে ভিয়েতনামীরা

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৮:৫৭ রাত
আপডেট: জুন ০৩, ২০২৪, ০১:২৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ফরাসি উপকূল থেকে ছোট য় ইংল্যান্ডে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ভিয়েতনামী অভিবাসীরা। ২০১৯ সালে বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনে আসা একটি ট্রাক থেকে ৩৯ জন ভিয়েতনামী নাগরিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ইউরোপজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল।

 

 

ব্রিটিশ আইনসভার নির্বাচনের আর বাকি পাঁচ সপ্তাহ। এর মধ্যে দেশটির রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ছোট নৌকায় আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা সীমিত করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২৪ সালের প্রথম মাসেই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী।

সাধারণত যেসব অভিবাসীর পরিবার ব্রিটেনে থাকেন তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বড় একটা অংশ উত্তর ফ্রান্সের কালেসহ বিভিন্ন উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। বিশেষ করে আফগান, কুর্দি এবং ইরাকি নাগরিকরা এই তালিকায় অন্যতম। আলবেনিয়া, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে আসা অনিয়মিত অভিবাসীরা ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিয়মিত চ্যানল পাড়ির চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ হোম অফিস আরেকটি উদ্বেগজনক ঘটনা লক্ষ্য করেছে। সেটি হলো চলতি বছরের শুরু থেকে ভিয়েতনামী নাগরিকদের ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ৬০ জন ভিয়েতনামী নাগরিক সমুদ্রপথে ব্রিটেনে এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে হোম অফিস। যা দেশটিতে পৌঁছানো মোট অভিবাসীর ১৪ শতাংশ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলেছে, চ্যানেল অতিক্রম করে আসা অভিবাসীদের মধ্যে বর্তমানে অন্যতম প্রধান জাতীয়তা ভিয়েতনামের নাগরিকদের।

 

• ব্রেক্সিটের প্রভাব

বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী সেব রাবসি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েননামীদের ছোট নৌকার ব্যবহার বৃদ্ধির পেছনে একটি কারণ হচ্ছে ব্রেক্সিটের কারণে ইংলিশ চ্যানেলে অবস্থিত ইউরো টানেলের অভিবাসন রুটে নজরদারি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে আরো কঠিন হয়ে পড়েছে মালবাহী ট্রাকের পেছনে উঠে ব্রিটেনে প্রবেশ। ফলে ভিয়েতনামী অভিবাসীরা ছোট নৌকা ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।

মানবপাচার নিয়ে কাজ করেন বিশেষজ্ঞ মিমি ভু । তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের সংখ্যাও কমে এসেছে।

এছাড়া ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনে যেতে গিয়ে ২০১৯ সালে মারা যান ৩৯ জন ভিয়েতনামী অভিবাসী। একসঙ্গে এত মানুষ মৃত্যুর ঘটনাও আসলে অভিবাসীদের পণ্যবাহী ট্রাকে না উঠে ইংলিশ চ্যানেলের দিকে পাড়ি দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছে।

ফরাসি স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে উত্তর ফ্রান্স উপকূলের বুলন এবং মন্ত্রইওয়া অঞ্চলে সক্রিয় অভিবাসন সংস্থা অসমোস-৬২। সংস্থাটির সদস্য অলিভিয়ে তারনিসিয়া বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে আমরা বিস্ময়করভাবে ফরাসি উপকূলে বিপুলসংখ্যক ভিয়েতনামী নাগরিকের আগমন লক্ষ্য করছি। আগে কখনো সে দেশের নাগরিকদের ফরাসি উপকূলে দেখা যায়নি।

সংস্থাটির আরেক সদস্য সোফি রু বলেন, আমরা উপকূলে ভিয়েতনামী পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীকেও দেখতে পাই। কিন্তু আমি শিশুদের নিয়ে কোনো পরিবার দেখিনি। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করে। যেমন, তারা একবার সমুদ্রে ব্যর্থ হয়ে উপকূল থেকে উত্তর ফ্রান্সের ডানকের্ক শহরে ফিরে যেতে ট্যাক্সির ভাড়া নিয়ে কখনো আলাদা করে ভেবে দেখে না।

আলোচিত অভিবাসন সংস্থা ইতুপিয়া ৫৬-এর স্বেচ্ছাসেবকরাও একই মতামত দিয়েছেন। সংস্থাটির গ্রন্দ সান্থ অঞ্চলের সমন্বয়কারী অ্যাঞ্জেল ভেতেরেলো বলেন, গত গ্রীষ্ম থেকে আমরা উত্তর উপকূলে, বিশেষ করে গ্রন্দ-সান্থে এবং ডানকের্ক অঞ্চলে প্রচুর ভিয়েতনামী দেখেছি।

২০১০-এর দশকে ভিয়েতনামীরা ব্রিটেনে যেতে ফরাসি উপকূল থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অংগ্র শহরে জড়ো হয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টির মেয়রের দায়িত্বে থাকা এই মিউনিসিপ্যালিটি এবং এশীয় দেশটির কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক সাহায্যের কারণে ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম শহরটিকে ‘ভিয়েতনাম সিটি’ নাম দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের দিকে এ অঞ্চলে ভিয়েতনামীদের আগমন বন্ধ হয়ে যায়।

শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, কয়েক বছর ধরে এই শহরে কোনো ভিয়েতনামী নেই। কালেসহ উত্তর ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে ভিয়েতনামীরা কুর্দি, সুদান, ভারত ও বাংলাদেশের অভিবাসীদের সঙ্গে মিশে যায়। ইউটোপিয়া ৫৬ এর সালোমে বাহরি ব্যাখ্যা করেন, ‌‌‘‘অনেক ভিয়েতনামী খাদ্য বিতরণ পয়েন্টে আসে। আমরা আমাদের বিভিন্ন তথ্য ভিয়েতনামি ভাষায় অনুবাদ করতে বাধ্য হয়েছি। উপকূল থেকে যাত্রা করা প্রতিটি ছোট-নৌকায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে তারা অন্যান্য অভিবাসীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।’’

বিশেষজ্ঞ মিমি ভু বলেন, ‘‘২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ট্র্যাজেডি এবং উত্তর ফ্রান্সে ভিয়েতনাম সিটি বন্ধ হওয়ার পরে ভিয়েতনামীরা যখন নৌকায় যাত্রা শুরু করেছিল তখন থেকেই তারা অন্যান্য দলের সঙ্গে মিশে যেতো।’’

• ৫০ হাজার ডলারে ভিয়েতনাম থেকে ব্রিটেন

ভিয়েতনামীরা ফ্রান্সেও ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি গোষ্ঠী। অনিয়মিত অভিবাসন বিরোধী বিশেষ ফরাসি দপ্তর (অল্টিম) এবং ব্রিটিশ পুলিশের এক যৌথ তদন্ত চলতি মাসে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে অভিবাসী পাচারকারী একটি চক্র ভেঙে দিতে সক্ষম হয়। অভিযানে আটক হওয়া পাঁচজনের মধ্যে এক বাড়ির মালিককে প্যারিসের শহরতলি বাকি চারজনকে ইংল্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক ভিয়েতনামী তরুণকে এই নেটওয়ার্কের প্রধান হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার ডাকনাম তুয়ান। 

ভিয়েতনামের চোরাচালান নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে কাজ করে সেটি এই পুলিশি অভিযান থেকে অনেকটা বুঝতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। একটি গোপন নথি উল্লেখ করে ফরাসি তদন্তকারীরা ব্যাখ্যা করেন, অনিয়মিত অভিবাসনের বিপুল খরচ কমাতে ভিয়েতনামী অভিবাসী বৃহত্তর প্যারিসের ভাল দ্যো মার্ন অঞ্চলে এশীয় পাচারকারীদের জন্য মেথামফেটামিন নামক মাদক পরিবহন করেছিল। চক্রটির সদস্যদের আটকের সময় পুলিশ সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে ২১৮ গ্রাম কেটামিন, ১০২ গ্রাম মেথামফেটামিন এবং ৩৬ গ্রাম এক্সস্ট্যাসি সিনথেটিক মাদক জব্দ করা হয়েছিল।

ট্রাকে ৩৯ জন অভিবাসী নিহতের ঘটনার পর থেকে পাচারকারীরা এখন ভিয়েতনাম থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত আনতে জনপ্রতি ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। 

২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারগুলো ভিয়েতনাম থেকে ইউরোপের দিকে যাত্রার প্রথম অংশে নিজের দেশে ঋণ করেন। বিপুল খরচ মেটাতে পুরো যাত্রা জুড়ে অভিবাসীদের শোষণমূলক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেআইনি কাজ করাতে বাধ্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ নকল ওষুধ বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়।

• হাঙ্গেরির ভিসায় ইউরোপ

ফ্রাঙ্কো-ব্রিটিশ তদন্তকারীদের হাতে আটক হওয়া নেটওয়ার্কটি বৃহত্তর প্যারিসের থিয়েই, সোয়াসি লো রোয়া এবং ইভ্রি সু সেইন এলাকায় সক্রিয় ছিল। আটককৃতদের মধ্যে একজন পুলিশকে জানিয়েছেন, ভিয়েতনাম থেকে সম্প্রতি দুই বছর মেয়াদি হাঙ্গেরির ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে আসা ব্যক্তিরা প্রায় ২০ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইউরোপে এসেছিলেন। 

তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বলেন, তার দায়িত্ব ছিল হাঙ্গেরির ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে আসা ভিয়েতনামীদের জন্য আবাসন এবং চাকরি জোগাড় করা। অর্থাৎ সবাই ব্রিটেনে যান এমন না। অনেকেই অন্য ইইউ দেশের ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেন।

দুই গবেষক ড্যানিয়েল ট্যান ও থি হিপ গুয়েনের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিয়েতনামী অভিবাসীরা সাবেক কমিউনিস্ট ব্লকের দেশগুলোর (হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, ইত্যাদি) সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবিধা গ্রহণ করে পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে দুই লাখ ১৭ হাজার ১৮৩ জন ভিয়েতনামী অভিবাসী এসব দেশে চাকরি করেছেন।

ব্রিটিশ গবেষক সেব রাসবি বিশ্লেষণ করেন, এসব অভিবাসীদের অধিকাংশ ভিয়েতনামের এনগে আন এবং হা টিনহ বেশ কয়েকই প্রদেশ থেকে এসেছেন। যারা অর্থনৈতিকভাবে উপেক্ষিত এবং এসব অঞ্চলে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। এসব ব্যক্তি সাধারণত দরিদ্র গ্রামীণ এবং শহুরে পটভূমি থেকে আসে। যাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই। 

বর্তমানে ভিয়েতনামী অভিবাসীদের ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রধান দেশ হাঙ্গেরি । ফরাসি গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে, একজন ভিয়েতনামী তাদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি নগদ আট হাজার ইউরোর বিনিময়ে ভিয়েতনামের হাঙ্গেরিয়ান দূতাবাস থেকে অবৈধভাবে ভিসা পেয়েছিলেন।

• নেইল কেয়ার সেন্টারে শোষণ

অপরদিকে, কয়েক বছর আগে ভিয়েতনামের মানবপাচারকারীরা মাল্টা কলেজ অফ আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে তরুণ ভিয়েতনামীদের ভর্তির জন্য ভিয়েতনাম এবং মাল্টার মধ্যে থাকা একটি অংশীদারত্ব চুক্তির সুযোগ নিয়েছিল।  ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, মাল্টার শিক্ষার্থী ভিসা পাওয়া ২৬৫ জন ভিয়েতনামী শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র দু’জন ভিয়েতনামে ফিরে গেছেন।

স্বাধীন বিশেষজ্ঞ মিমি ভু বলেন, এসব শিক্ষার্থী পরবর্তীতে বিভিন্ন পাচার নেটওয়ার্কের সহায়তায় বেলজিয়াম, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে খুঁজে পেয়েছে। যারা বিভিন্ন সেলুন ও পার্লারে কাজের মাধ্যমে শোষিত হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে মাল্টার বিশ্ববিদ্যালয় ভিয়েতনামীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

যারা অনিয়মিত উপায়ে ব্রিটেনে যান তারাও বিভিন্ন সেলুন কিংবা নেইল পার্লারে কাজ করেন। নেইল পার্লার বা কেয়ার সেন্টারগুলোতে সাধারণত নারীদের হাত ও পায়ের নখের পরিচর্যা ও প্রসাধনের ব্যবস্থা রয়েছে। অভিবাসীদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ব্রিটেনে বিভিন্ন গাঁজা খামারেও কাজ নেন। যদিও এসব বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। 

২০২২ এর দশকের গোড়ার দিকে ভিয়েতনামীদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেইল পার্লারে কাজ করতে যাওয়ার ধারণাটি তৈরি হয়েছিল। এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরবর্তীতে এই ব্যবসার ৬০ শতাংশ ভিয়েতনামীদের দখলে যায়।

ভিয়েতনামের চোরাচালান নেটওয়ার্কগুলো উত্তর ফ্রান্স থেকে অভিবাসীদের ছোট নৌকায় নিতে সরাসরি অভিবাসীদের নিয়ে আসে। ভিয়েতনামীদের ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় উঠতে নিরুৎসাহিত করতে ব্রিটিশ সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচারণা শুরু করেছিল। যাতে তাদের চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা যায়। ২০২৪ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৬ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS