ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১২১ জন নিহত হওয়ার পর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্টে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে সেখানে ‘ভোলে বাবা’ নামের ধর্মগুরুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীল কুমার বলেন, ‘ভোলে বাবা নারায়ণ সরকার হরি নামেও পরিচিত। তাঁর খোঁজে আমরা রাম কুটির চত্ত্বরে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি সেখানে ছিলেন না।’
গতকাল মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলার মুঘলাগড়ি গ্রামে ধর্মগুরু ভোলে বাবার সম্মানে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। তারপর এক সময় হঠাৎ হট্টগোল শুরু হয়। সবাই এদিক-সেদিক দৌঁড়াতে থাকেন। এ সময় পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জন নিহত হন।
হাতরাসের প্রধান মেডিকেল অফিসার (সিএমও) ডা, মনোজিৎ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩২ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে ১৯ জনের। বাকিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
উত্তর প্রদেশের সংসদ সদস্য কে এল শর্মা বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠানের অয়োজন করার আগে রাজ্য সরকারের উচিত জনগণের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
পুলিশ জানিয়েছে, ‘সৎসঙ্গ’ নামের ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কী কারণে হুড়োহুড়ি হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের শঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধর্মগুরুর আসল নাম সুরজ পাল। যদিও ভক্তরা তাঁকে চেনেন বিশ্ব হরি ভোলে বাবা নামে। কাসগঞ্জের পাটিয়ালি বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সেখানেই রয়েছে তাঁর মূল আশ্রম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।