ফরিদপুরে সন্তানকে হত্যা মামলায় বাবা হেলাল শেখ (৪৬) ও সৎ মা জেসমিন বেগম (৩১) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে এ আদেশ দেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত। রায়ের সময় হেলাল ও জেসমিন বেগম পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল শেখ ২০০৪ সালে জ্যোস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। এরপর ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর হেলাল ও জেসমিন জ্যোস্না বেগমের উপর নির্যাতন শুরু করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে জ্যোস্না বেগম ইউএনওসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। ওই সালিশে জ্যোস্নার প্রতিবন্ধী ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ আদালতের পিপি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।