আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জমে উঠেছে পশুর হাট। তবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে।
কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা গরু চেনার উপায় জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
হাটে গেলে কীভাবে এসব গরু সহজেই চিহ্নিত করা যাবে সে ব্যাপারে জানিয়েছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। আসুন জেনে নেই-
কোরবানির পশু সব ধরনের শারীরিক ত্রুটিমুক্ত হওয়া জরুরি। গুণগত দিক থেকে উত্তম হলো- পশুটি দেখতে সুন্দর, নিখুঁত বা দোষত্রুটিমুক্ত ও হৃষ্টপুষ্ট।
সুস্থ গরুর গায়ের রং চকচকে থাকবে, কুঁজ মোটা থাকবে, চামড়া টানটান থাকবে, চামড়ায় কোনো দাগ থাকবে না এবং গরুর গায়ে স্পর্শ করলে সে স্থানে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশ ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে।
সুস্থ গরুর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। তবে সুস্থ গরুর ক্ষেত্রেও যখন অনেক দূর থেকে হাঁটিয়ে হাটে নিয়ে আসা হয় তখন শরীরের তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু তা এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
খাবার দেখলেই খাওয়ার আগ্রহ দেখাবে। নিয়মিত জাবর কাটবে। গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকবে।
গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ কিংবা কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে কি না এসব পর্যবেক্ষণের জন্য দিনের বেলায় হাটে যাওয়া উত্তম। এতে দেখে বুঝে সঠিক গরুটি কিনতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।