ভিডিও

রবিউল আউয়াল মাসের করণীয় ও বর্জনীয়

মাওঃ ডাঃ শফিকুল ইসলাম মীর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ১০:৩৩ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ১০:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রবিউল আউয়াল মাসের করণীয় ও বর্জনীয় : আরবী বছরের তৃতীয় মাস ‘রবিউল আউয়াল’ এ মাস  খুবই ফজিলত ও বরকতের মাস। অধিকাংশ আলেমগণের মতে রমযানের পরই রবিউল আউয়ালের মর্যাদা। রমযান মাসের মর্যাদা অধিক হওয়ার কারণ এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে।

আর রবিউল আউয়াল মাসের মর্যাদা অধিক হওয়ার কারণ, এ মাসে নবী করিম (সাঃ) পবিত্র মক্কা শরীফে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন এবং এ মাসেই মদীনা শরীফে নবী করিম (সাঃ) ইন্তেকাল করেছেন। এ মাসের ফজিলত অনেক। বিশেষ করে এ মাসের ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা কঠিন, তবুও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিম্নে প্রদত্ত হলো-

(১) রবিউল আউয়াল মাসে কা’বা শরীফ মাকামে ইব্রাহীমের দিকে ঝুকে সিজদা দিয়েছিল।

(২) সামাওয়া নামক হ্রুদ পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, এর পূর্বে হাজার বছর যাবৎ তা শুকনাই ছিল।

(৩) পুশুপাখিরা আপন, আপন ভাষায় একে অন্যের সাথে কথা বলেছিল।

(৪) পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম নবী করিম (সাঃ) এর আগমনে আলোকিত হয়ে উঠেছিল।

(৫) হাজার হাজার বছর ধরে প্রজ্জ্বলিত অবস্থায় চলে আসা পারস্যের অগ্নিকুন্ডগুলো নিভে গিয়েছিল।

(৬) বিশ্বের সকল রাজা-বাদশা প্রাণ ভয়ে কেঁপে উঠেছিল। (সীরাতে হালাবিয়া ও মাওয়াহী বুললাদুন্নিয়া)

হাদীসে শরীফে আছে যে, নবী করিম (সাঃ) এর শুভ জন্মের খবর পেয়ে আবু লাহাব খুশি হয়ে তার দাসী ছুয়াইবাকে ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলের ইশারাই আজাদ করে দিয়েছিল। তাই আবু লাহাব চির জাহান্নামী হওয়া সত্ত্বেও সে প্রতি সোমবার দিন ঐ আঙ্গুল চোষণ করে পিপাসা নিবারণ করবে।

কেননা সে  নবী করিম (সাঃ) এর শুভ জন্মের খুশির সংবাদে আপন বাদী আজাদ করে দিয়েছিল। তাই আল্লাহ তা’আলা তার ওই আঙ্গুলের প্রতি সোমবারে মধুর ব্যবস্থা কুদরতী ভাবে করে দিবেন।

করণীয় :- এ মাসে সদকা করা, সীরাতুন নবী (সাঃ) সম্পর্কে আলোচনা করা, সপ্তাহের সোমবার দিনে রোযা রাখা, দরুদ ও সালাম পড়াই হলো উত্তম আমল। আল্লাহ তা’আলা নবী করিম (সাঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করার জন্য সকল ঈমানদারকে আহ্বান করেছেন।

নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ তোমরা আমার উপর দরুদ পাঠ করো। তোমরা যেখানেই থাকনা কেন তোমাদের দরুদ আমার নিকট পৌছানো হয়। নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন-যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আমার উপর দরুদ পড়া থেকে ভুলে থাকল সে বেহেশতের রাস্তা থেকে হটে গেল। (ইবনে মাজাহ শরীফ) নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে যে, আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে।

নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- আল্লাহ তা’আলা বহুসংখ্যক ফিরেশতা এ কাজের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন যে, তারা পৃথিবীর জমিনে বিচরণ করতে থাকবে এবং আমার উম্মতের যে ব্যক্তি আমার জন্য দরুদ ও সালাম পাঠাবে তারা তা আমার নিকট পৌছে দিবে (নাসাঈ শরীফ) নবী করিম (সাঃ) আরও ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি সকালে আমার উপর দশ বার দরুদ পাঠ করবে এবং সন্ধ্যায় দশ বার দরুদ পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করব। (ত্ববারানী শরীফ)

বর্জনীয় :- সমস্ত প্রকার বেদআত ও কু-রসম থেকে বিরত থাকতে হবে। হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে  নবী করিম (সাঃ) এর খাঁটি প্রেমিক হয়ে ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : ইমাম ও খতীব, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ বৃন্দাবনপাড়া, বগুড়া।
মুহতামিম
দাঃ ইঃ আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) নুরানী মাদ্রাসা
দঃ বৃন্দাবনপাড়া, বগুড়া



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS