তাপদাহ ও গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ
হাফিজা বিনা : সূর্যদহনে যেন আগুন ঢেলে দিচ্ছে প্রকৃতিতে। ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই রোদ নয় যেন আগুন নামছে আকাশ থেকে। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। বিশেষ করে রোজাদার মানুষ নাজেহাল। মধ্য চৈত্রে এসে বগুড়াসহ দেশের অনেক অঞ্চলজুড়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) বগুড়ার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে প্রায় ৩৭ ডিগ্রীতে। এরই মধ্যে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়ার এবং সেই সাথে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সবমিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রার পারদ আরও চড়ার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এবছর আবহাওয়ার ধরণ একটু অন্যরকম। কখনও শীত অনুভূত হচ্ছে তো কখনও গরম। চৈত্র মাস পরার পর থেকে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছেই। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই কাঠফাটা গরমের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। টানা যে ভাবে পারদের ঊর্ধ্বমুখী গতি থাকছে, তাতেও সেই ইঙ্গিতই ধরা পড়ছে। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সোমবার রমজানের ২১ তারিখ।
দিনের আলো ফোটার পর থেকেই সূর্যের আগুন ঝরা তাপদাহ ঠিকরে পড়ছে প্রতিবেশে। একদিকে রমজান মাস, রোজাদার মানুষ ভয়ে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। অন্যদিকে কষ্টকে সাথী করে রাস্তায় বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। এমন আবহাওয়ায় এরই মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাড়ি বাড়ি জ¦র, সর্দি, বসন্ত, স্ট্রোক জনিত রোগের রোগি বাড়ছে। গরম ও রমজানের জন্য খাবার ডাব, তরমুজ, দইয়ের দাহিদা বেড়েছে।
জানা গেছে, এবছর গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম। সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির দেখা নেই। তাছাড়া সূর্য্যরে কিরণকাল অর্থাৎ দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছে, যা নিয়ম অনুয়ায়ী ২১ জুন পর্যন্ত বাড়বে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদার মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষ। রোজা রেখে যে সব মানুষ ঈদ আনন্দের জন্য মার্কেটে মার্কেটে ঘুরছেন তারা ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
রাস্তা-ঘাটে চলতে ফিরতে দেখা যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ ও পথচারীরা গাছের ছায়ায় খোলা জায়গাতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। তবে এই তাপদাহে ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। সবকিছু তেতে আছে। প্রচন্ড তাপে রুক্ষ হয়ে পড়ছে মাঠ-ঘাট প্রান্তর।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সোমবার বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত রোববার ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনেও দেখা মিলবে না কাঙ্খিত বৃষ্টির। সবমিলিয়ে প্রচন্ড গরম আর তাপদাহ সহ্য করতে হবে বগুড়াসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের মানুষ ও প্রাণিক’লকে এমনটাই জানিয়েছেন আবাহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।