ভিডিও

বগুড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা বাড়ছে, বেশি ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্টে

গত বছর ৮৬৮টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৩, ২০২৪, ০৯:৫১ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৪, ২০২৪, ০১:০১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

মাসুদুর রহমান রানা: বগুড়ায় আগুন লাগার ঘটনা বাড়ছে। জন সচেতনতার অভাবে আগুন লাগার ঘটনা বেড়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা মনে করেন। গত বছর ২০২৩ সালে বগুড়ায় ৮৬৮টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে বেশির ভাগ আগুন লেগেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। নিম্নমানের ও ক্রটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ফিটিং ব্যবহার, ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে নিয়মিত বৈদ্যুতিক তার পরীক্ষা না করানোর কারণে প্রধানত: বৈদ্যুতিক গোলযোগ হচ্ছে। আর এই গোলযোগ থেকে বেশি আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে।

সেইসাথে বিড়ি-সিগারেটের জলন্ত টুকরো,গ্যাস,ইলেকট্রিক ও মাটির চুলা,উপ্তপ্ত ছাই, বাজি পোড়ানো, যানবাহন দুর্ঘটনা জনিত কারণ, গ্যাসের লাইন, শিশুদের আগুন নিয়ে খেলার সময় খোলা বাতির ব্যবহার,সিলিল্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ, যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত কারণ এবং উচ্চতাপ সহ নানা কারনে থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বগুড়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২০২৩ সালে ৮৬৮টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ’ টাকার। এ সময় আগুনের ছোবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার  ৫শ’ টাকার মালামাল।

এর আগের বছর বগুড়ায় ৮১৩টি অগ্নিকান্ডে পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। তবে  এ সময় ফায়ার কর্মীরা আগুন থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার মালামাল। এদিকে ২০২১ সালে ৪৩৫টি অগ্নিকান্ডে আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয় ৩ কোটি ২৯ লাখ৫৩ হাজার টাকার।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মঞ্জিল হক বলেন, মানুষের সচেতনতার অভাবে আগুন লাগার ঘটনা বাড়ছে। মানুষ যত সচেতন হবে, ততই আগুন লাগার ঘটনা কমে আসবে। তিনি বলেন,এখন শুস্ক মৌসুম চলছে। তাই এ সময় আগুন যাতে না লাগে সেজন্য মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: শহিদুল ইসলাম বলেন,অসাবধানতাই অগ্নিকান্ডের প্রধান কারণ। তাই অগ্নি প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। রান্নার পর চুলার আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলতে হবে। বিড়ি বা সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ নিভিয়ে ফেলতে হবে। শিশুদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত রাখতে হবে, খোলা বাতির ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন,দরজা জানালা বন্ধ রেখে গ্যাসের চুলা জ্বালানো অত্যন্ত বিপদজ্জনক, সুতরাং গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। রান্না শেষ হলে চুলার চাবি ভাল করে বন্ধ করে দিতে হবে। অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা নিয়মিত ভবনের বৈদ্যুতিক কেবল ও ফিটিংস পরীক্ষা করানোসহ ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ফিটিংস দ্রুত বদলে ফেলতে হবে।

হাতের কাছে সব সময় দুই বালতি পানি বা বালু মজদু রাখতে হবে। যাতে আগুন লাগলে প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলো ব্যবহার করে আগুন নেভানো যায়। তিনি বলেন,বাসগৃহ, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে এবং প্রয়োজন মুহূর্তে তা ব্যবহার করতে হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS