ভিডিও

হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০২:৪৮ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০২:৪৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। তার মতে, হাথুরুর কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভরাডুরি আশঙ্কা রয়েছে। প্রধান কোচের এমন একচ্ছ্বত্র আধিপত্য পছন্দ করেন না বলেই আট বছর আগে পদত্যাগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ফারুক।

সুপ্রিম পাওয়ার, ডিকটেটরশিপ, একচ্ছ্বত্র আধিপত্য। কথাগুলো ঠিক ক্রিকেটীয় নয়, বরং ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তবে আধুনিক ক্রিকেটে এমন কথা শোনা যায় হরহামেশাই। অন্তত বাংলাদেশে। গত বছর আবারও টাইগার ডেরায় ফেরানো হয় লঙ্কান মাস্টার মাইন্ড চান্ডিকা হাথুরুসিংহকে। কিন্তু প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই ব্যর্থ হন তিনি। শুধু দলকে এক সুতোয় বাঁধতেই ব্যর্থ হননি এই কোচ, ব্যর্থ নিজের দীক্ষা ছড়িয়ে দিতেও। 

হাথুরুর সঙ্গে অনেকটা সময় কাজ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আনলেন আরও গুরুতর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘আমরা কী মনে করে তাকে ফেরত নিয়ে আসলাম? এর পেছনে যুক্তি এবং কারণটা কী ছিল? আমরা সবসময় শক্তিশালী স্কোয়াড তৈরির বিষয়ে কাজ করেছি। কিন্তু হাথুরু এটা পছন্দ করেন না। তিনি মনে করেন, আমি যদি সেখানে থাকি, তাহলে তিনি একচ্ছ্বত্রভাবে কোনোকিছু করতে পারবেন না। মাঝেমধ্যে তিনি একনায়কতন্ত্রের প্রয়োগ করেন। তিনি এসেই নির্বাচক বাদ দিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। আর সেই প্রভাব দল সাজানোর ওপরে পড়ে। আমরা বলি একটা, আর বাইরে থেকে বলে দেয় আরেকটা। তাতে দল নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটা ধাঁধার মধ্যে পড়ে যায়।’ 

প্রশ্ন আছে নির্বাচক আর দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও। ফারুকের মতো যেখানে প্রচ্ছ্বন্ন প্রভাব থাকে বিসিবি পরিচালকদেরও। ‘দল নির্বাচন নিয়ে আমি বিরক্ত বলবো না। কিন্তু যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হচ্ছে, সেটি আমি মানতে পারি না। পেছন থেকে যারা এই কাজ করে তারা খুবই কম দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ। হাথুরু প্রথম ছয় মাস ভালো ছিল। এরপরে আমরা কিছু বললে বলতেন, এত নির্বাচকদের দরকার নেই। যদি আমি নির্বাচক হিসেবে থাকতাম তাহলে হাথুরুর একনায়কতন্ত্র চলতো না।’

বোর্ডের দায়িত্বহীনতা, ক্রিকেটারদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হয়েছে ভারত বিশ্বকাপে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সর্বিক বিবেচনায় এখানেও ভরাডুরির শঙ্কা দেখছেন ফারুক, ‘এই টি-টোয়েন্টিতে খেলতে যাবে। কোনো পরিকল্পনা আছে? এই টুর্নামেন্টের জন্য ১৫ থেকে ২৫ সদস্যের ক্রিকেটার আছে? আমার মনে হয় না। কে অধিনায়ক হবে, কিছুই জানা নেই। নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। কেউ আসলে চার বছরের বেশি থাকা উচিত না।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS